প্রচ্ছদ / আকিদা-বিশ্বাস / এশার ওজু দ্বারা ফজরের নামায এবং এক হাজার রাকাত নামায পড়ার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই ?

এশার ওজু দ্বারা ফজরের নামায এবং এক হাজার রাকাত নামায পড়ার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই ?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম

সামাজিক সাইটগুলোতে তাবলীগের বিরুদ্ধে এসব পোষ্ট প্রচার করা হচ্ছে। হুজুর যদি সময় করে একটু জবাব দিতেন তাহলে কৃতজ্ঞ হতাম।
তাবলীগ জামাতের কিতাব ফাজায়েলে আমলে অবাব ও আজগুবি কিসসা-কাহিনীঃ

১.

‘’শেখ আবদুল ওয়াহেদ নামে একজন বিখ্যাত সুফি ছিলেন। কথিত আছে, চল্লিশ বৎসর যাবৎ তিনি এশার অযু দ্বারা ফজরের নামাজ পড়িয়াছেন।‘’
ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে নামাজ; মুহাম্মাদ জাকারিয়া ছাহেব কান্ধলভি; অনুবাদক- মুফতি মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ; নজরে ছানী ও সম্পাদনা হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ যুবায়ের ছাহেব ও মাওলানা রবিউল হক ছাহেব; কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা।
প্রকাশনা- দারুল কিতাব, ৫০ বাংলাবাজার,ঢাকা; অক্টোবর ২০০১ ইং; পৃষ্ঠা নঃ ৯৪
ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে নামাজ; তাবলিগী কুতুবখানা সংশোধিত সংস্করন; ১২ মার্চ ১৯৯০ ইংরেজি; পৃষ্ঠা নঃ ৯২

প্রতিবাদ ও খন্ডনঃ

হে সম্মানিত পাঠক! আল্লাহ প্রদত্ত নিজের জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধি একটু কাজে লাগানোর অনুরোধ করছি। আপনি চিন্তা করে দেখুন কত বড় ডাহা মিথ্যা কথা ধর্মের নামে চালানো হচ্ছে!

# কোনো ব্যক্তির পক্ষে কি সম্ভব লাগাতার চল্লিশ বৎসর এশার অযু দ্বারা ফজরের নামাজ পড়া?

# চল্লিশ বৎসর যাবত কি সারারাতের মধ্যে একদিনও তার অযু ভঙ্গ হয় নাই?

# চল্লিশ বৎসর যাবত কি একদিনও তিনি ঘুমান নাই?

# চল্লিশ বৎসর যাবত কি একদিনও সারারাতের মধ্যে পেশাব করেন নাই?

# চল্লিশ বৎসর যাবত কি একদিনও সারারাতের মধ্যে পায়খানা করেন নাই?

# চল্লিশ বৎসর যাবত কি একদিনও সারারাতের মধ্যে (যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন) স্ত্রী গমন করেন নাই?

# চল্লিশ বৎসর যাবত কি একদিনও সারারাতের মধ্যে তার স্বপ্নদোষ হয় নাই?

আমাদের চিন্তা করা উচিত ফাজায়েলের নামে কি রকম উদ্ভট কথা চালানো হচ্ছে, তাও আবার মসজিদে মসজিদে!

কোন সুস্থ মস্তিস্কের বিবেক ও যার সামান্যতম বোধশক্তি আছে সে উপরোক্ত কথা সমর্থন করতে পারে না।


ফাযায়েলে আমলের ফাযায়েলে নামাযে উল্লেখিত আছে যে, হযরত জয়নুল আবেদীন (রহঃ) দৈনিক এক হাজার রাকাত নামাজ পড়িতেন।
এটিও একটি অসম্ভব ও আজগুবি কথা। একদিনে এক হাজার রাকাত নামায পড়া অসম্ভব। খাওয়া, দাওয়া অন্যান্য কাজের মাঝ দিয়ে এক হাজার রাকাত কিভাবে পড়া যাবে? তাহলে কি ঠুশঠাষ উঠতেন আর বসেতন?কিরাত টেরাত কিছুই পড়তেন না?
আসুন উপরে বর্ণিত ঘটনার একটি পোষ্টমর্টেম করিঃ ‘হযরত ওমর/ওমায়ের (রাঃ) প্রতিদিন ১,০০০ রাকাত নফল নামাজ ও ১,০০,০০০ বার তাসবিহ আদায় করতেন’
১০০০ রাকাত নামাজ ১ মিনিট করে = ১০০০ মিনিট সময়
১০০০ রাকাত নামাজে ৫০০ টি তাশাহুদের বৈঠকে ১ মিনিট করে = ৫০০ মিনিট সময়
১০০০০০ বার তাসবিহ আদায় করতে ১ সেকেন্ড করে ১০০০০০ সেকেন্ড/৬০ = ১৬৬৬.৬৭ মিনিট সময়
মোট সময় লাগে ( ১০০০+৫০০+১৬৬৬.৬৭) = ৩১৬৬.৬৭ মিনিট সময়

দৈননদিন নামাজের হিসাবঃ

এর বাইরে প্রতিদিন আছে ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ ১ মিনিট করে = ১৭ মিনিট সময়
১৭ রাকাত নামাজে ৯ টি তাশাহুদের বৈঠকে ১ মিনিট করে = ৯ মিনিট সময়
এর বাইরে প্রতিদিন আছে ৩ রাকাত ওয়াজিব নামাজ ১ মিনিট করে = ৩ মিনিট সময়
৩ রাকাত নামাজে ২ টি তাশাহুদের বৈঠকে ১ মিনিট করে = ২ মিনিট সময়
এর বাইরে প্রতিদিন আছে কমপক্ষে ১২ রাকাত সুন্নত নামাজ ১ মিনিট করে = ১২ মিনিট সময়
১২ রাকাত নামাজে ৬ টি তাশাহুদের বৈঠকে ১ মিনিট করে = ৬ মিনিট সময়
এর বাইরে প্রতিদিন আছে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ ১ মিনিট করে = ৮ মিনিট সময়
৮ রাকাত নামাজে ৪ টি তাশাহুদের বৈঠকে ১ মিনিট করে = ৪ মিনিট সময়
মোট সময় লাগে (১৭+৯+৩+২+১২+৬+ ৮+৪) = ৬১ মিনিট সময়

এর বাইরে প্রতিদিন আছে অজু-গোছল, পায়খানা-প্রস্রাব, খাওয়া-ঘুম, বিবির হক ইত্যাদিতে যদি কম করেও ৩ ঘন্টা = ১৮০ মিনিট ধরেন।
তাহলে প্রতিদিন মোট সময় প্রয়োজন (৩১৬৬.৬৭+৬১+১৮০) = ৩,৪০৭.৬৭ মিনিট = ৫৬ ঘন্টা ৪৭ মিনিট।
আমরা জানি ১ দিন = ১৪৪৬ মিনিট = ২৪ ঘন্টা ৬ মিনিট।

তাও যদি হয় সেটা হযরত ওমর/ওমায়ের (রাঃ) এর খেলাফত পাবার আগের ঘটনা। আর এটি যদি হয় খেলাফত পাবার পরের ঘটনা তাহলেতো সময় আরো বেশী প্রয়োজন, কারণ তাকে রাষ্ট্রের শাষন কার্যে সময় ব্যয় করতে হবে।

[তাই একবার সরল-সহজ নিরপেক্ষ মন নিয়ে ভেবে দেখুন এই কিতাবগুলি পুনঃমুল্যায়ন প্রয়োজন কিনা ?]

প্রশ্নকর্তা- মাসুম বিল্লাহ
ঢাকা, বাংলাদেশ।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আমরা একাধিক বার বলেছি যে, ফাযায়েলে আমল মুসলিমদের মানসিকতা নিয়ে পড়ার জন্য। খৃষ্টানদের মানসিকতা নিয়ে না পড়ার জন্য। যদি মুসলিমের মানসিকতা নিয়ে ফাযায়েলে আমল পড়া হয়, তাহলে ফাযায়েলে আমলে বর্ণিত মুজেজা, কারামত ও বরকত সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলো নিয়ে কোন প্রশ্ন আসবে না। কিন্তু যদি খৃষ্টানদের মানসিকতা নিয়ে ফাযায়েলে আমল পড়া হয়, তাহলে মনে প্রশ্ন আসবেই।
 
খৃষ্টানদের মানসিকতা কি?
 
খৃষ্টানরা যখন দেখল যে, হযরত ঈসা আঃ এর হাতের ছোঁয়ায় মৃত জীবিত হয়ে যায় তখন তারা এ বৈশিষ্টটিকে ঈসা আঃ এর নিজের অর্জিত যোগ্যতা মনে করল। আল্লাহ তাআলা এ ক্ষমতা দিয়েছেন বলে তিনি পেয়েছেন তা তারা বিশ্বাস করল না। বরং খোদ ঈসা আঃ নিজের ক্ষমতায় এ আশ্চর্য কর্ম করছেন বলে বিশ্বাস করল। ফলে তারা শিরকে লিপ্ত হল।
পক্ষান্তরে একজন মুসলিম নবীদের মুজেজা আর ওলীদের কারামতকে দেখে এই দৃষ্টিতে যে, এটি করেছেন আল্লাহ তাআলা। করিয়েছেন বান্দাকে দিয়ে। কিন্তু উক্ত কাজের স্রষ্টা মূলত আল্লাহই। মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে, ঈসা আঃ এর হাতে মৃত জীবিত হতো আল্লাহর ইচ্ছেয়, এতে ঈসা আঃ এর নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই।
 
ঠিক তেমনি যখন ফাযায়েলে আমলের মাঝে এমন সব মুজেজা ও কারামাতের কথা পাওয়া যায়, যা বাহ্যিকভাবে অসম্ভব। যা আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় কিছু বান্দার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, তখন আমরা মুসলমানরা বিশ্বাস করি একাজটি উক্ত বুযুর্গ ব্যক্তি নিজে করেননি। এ আশ্চর্য ঘটনা ঘটানোর তার কোন ক্ষমতাই নেই। বরং একাজ করেছেন আল্লাহ তাআলা। তবে যেহেতু উক্ত বান্দাকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন, তাই তার হাত দিয়ে উক্ত আশ্চর্য ঘটনাটির প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
তাই আশ্চর্য ঘটনার কথা শুনলে আমাদের মনে কোন প্রশ্নই থাকে না। বা জাগে না।
কিন্তু যিনি খৃষ্টানী মানসিকতা নিয়ে ওসব ঘটনা পড়েন, অর্থাৎ যারা খৃষ্টানদের মত বিশ্বাস করেন যে, আশ্চর্য ঘটনা ঘটানোর ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। আল্লাহর সাহায্য ছাড়াই উক্ত বুযুর্গ ব্যক্তি আশ্চর্য ঘটনা ঘটালেন, তখন তার মনে প্রশ্ন জাগে যে, আরে এতো শিরক হয়ে যাচ্ছে।
এ কারণে আমরা তাবলীগ বিরোধী ভাইদের বলি, ফাযায়েলে আমল পড়ার আগে মুসলিম মানসিকতা নিজের মাঝে তৈরী করুন। খৃষ্টানী মানসিকতা পরিহার করুন। তাহলে ফাযায়েলে আমল নিয়ে অযথা প্রশ্ন মনে উদয় হবে না। আর যদি খৃস্টানী মানসিকতা পরিহার না করতে পারেন, তাহলে দয়া করে এ মকবুল কিতাবটি পড়ার কোন দরকার নেই।

চল্লিশ বছর পর্যন্ত এক অজুতে ফজর নামায পড়া প্রসঙ্গে

এ বিষয়ে প্রশ্ন জেগেছে মূলত খৃষ্টানী মানসিকতা নিয়ে ফাযায়েলে আমল পড়ার কারণে। যদি মুসলিম মানসিকতা নিয়ে পড়তেন, তাহলে প্রশ্ন আসতো না। আল্লাহ তাআলা যদি একটি মানুষকে চল্লিশ বছর পর্যন্ত ইশার অজুতে ফজর নামায পড়ার তৌফিক দেন তাহলে আহলে হাদীস ভাইদের সমস্যা কি?
আল্লাহ তাআলা কি কোন বান্দাকে দিয়ে এ কাজ করাতে সক্ষম নন?
আল্লাহ তাআলা কি আহলে হাদীস ভাইদের মত অক্ষম? নাউজুবিল্লাহ!
যে আল্লাহ তাআলা আসহাবে কাহাফের বাসিন্দাতের ৩০০ বছর পর্যন্ত না খাইয়ে, পেশাব পায়খানা না করিয়ে জীবিত রাখতে পারেন, তিনি মাত্র চল্লিশ বছর পর্যন্ত ইশার নামায পড়ে অল্প কয়েক ঘন্টা পেশাব পায়খানা আটকে রাখার ক্ষমতা দিতে পারেন না?
আল্লাহর দিকে আহবান করার আড়ালে আসলে এ আহলে হাদীসরা কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে মানুষের আকিদাকে? আল্লাহ তাআলাকে এত অক্ষমতো কেবল নাস্তিকরাই মনে করতে পারে। কোন মুসলিম কি আল্লাহ তাআলাকে এত দুর্বল ও অক্ষম মনে করতে পারে?
আল্লাহ তাআলা এসব ফিতনাবাজ থেকে এ দেশের মুসলিম জাতিকে হিফাযত করুন। আমীন।

একদিনে এক হাজার রাকাত নামায পড়া প্রসঙ্গে

এ প্রশ্নটিও খৃষ্টানী মানসিকতা নিয়ে ফাযায়েলে আমল পড়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিমের মানসিকতা নিয়ে পড়লে এ প্রশ্ন মনে জাগতো না।
আল্লাহ তাআলা ইচ্ছে করলে এক বছরকে যেমন এক মিনিটের দিন বানিয়ে দিতে পারেন। তেমনি একদিনকে এক বছরও বানিয়ে দিতে পারেন। সেই আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার ইবাদতের জন্য সময়ের বরকত বাড়িয়ে দিয়েছেন এতে আশ্চর্যবোধ অন্তত আমরা মুসলিমরা করিনা। যারা আল্লাহ তাআলার এ সক্ষমতাকে অস্বিকার করে তারাই কেবল এসব বিষয় নিয়ে আশ্চর্য প্রকাশ করে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে।
সময়ের দীর্ঘায়িতা আর সংকোচন সংক্রান্ত বিষয়ে হাদীসে এসেছে-

 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَقَارَبَ الزَّمَانُ، فَتَكُونَ السَّنَةُ كَالشَّهْرِ، وَيَكُونَ الشَّهْرُ كَالْجُمُعَةِ، وَتَكُونَ الْجُمُعَةُ كَالْيَوْمِ، وَيَكُونَ الْيَوْمُ كَالسَّاعَةِ، وَتَكُونَ السَّاعَةُ كَاحْتِرَاقِ السَّعَفَةِ الْخُوصَةُ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত কায়েম হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত জমানা নিকটবর্তী হয়ে যাবে। ফলে বছর হয়ে যাবে মাসের মত, মাস হয়ে যাবে সপ্তাহের মত। আর সপ্তাহ হয়ে যাবে দিনের মত, দিন হয়ে যাবে ঘন্টার মত। আর ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে যাবে মুহুর্তেই। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১০৯৪৩, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৩৩২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৬২১৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬৮৪২}

সুনানে তিরমিজীতে দাজ্জালের ফিতনা সংক্রান্ত এক দীর্ঘ হাদীসের একাংশে এসেছে-

قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا لُبْثُهُ فِي الْأَرْضِ؟ قَالَ: ” أَرْبَعِينَ يَوْمًا: يَوْمٌ كَسَنَةٍ، وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ، وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ، وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ

হযরত নাওয়াস বিন সামআন কিলাবী রাঃ থেকে বর্ণিত। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, সে [দাজ্জাল] দুনিয়াতে কত দিন থাকবে? রাসূল সাঃ ইরশাদ করলেন, সে থাকবে চল্লিশ দিন। [যার মাঝের] এক দিন হবে এক বছরের সমান, এক দিন হবে এক মাসের সমান, একদিন হবে এক সপ্তাহের সমান। আর বাকি দিনগুলো হবে স্বাভাবিক দিনের মত। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২৪০, মুসনাদে আহমাদ} হাদীস নং-১৭৬২৯}
যে আল্লাহ তাআলা বছরকে মাসের মত, মাসকে সপ্তাহের মত, সপ্তাহকে দিনের মত, আর দিনকে ঘন্টার মত আর ঘন্টাকে এক মুহুর্তে নামিয়ে আনতে পারেন, সেই তিনিই দাজ্জালের আবির্ভাবের সময় একদিনকে বানিয়ে দিবেন এক বছরের মত।
এসবই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষে সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। এটাই আমাদের ঈমান।
কেউ যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সময়ের বরকত বাড়িয়ে দেয়া আর কমিয়ে দেয়ার সক্ষমতাকে অস্বিকার করে কেবল যুক্তির উপর নির্ভর করে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে হেদায়াতের দুআ করা ছাড়া আমাদের আসলে কিছুই করার নেই।

 

এ বিষয়ে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর দেখতে পারেন-

বুযুর্গানে দ্বীন এক দিনে কুরআন খতম ও হাজার রাকাত নামায পড়ে কি বিদআত করেছেন?

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com

lutforfarazi@yahoo.com

আরও জানুন

মহিলাদের এনআইডি কার্ড করার জন্য পর পুরুষের সামনে ছবি তুলতে মুখ খোলার হুকুম কী?

প্রশ্ন আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ৷ আহলে হক্ব মিডিয়া কর্তৃৃৃপক্ষ কে আসন্ন রমজানের শুভাচ্ছে রইল ৷ আমার প্রশ্নটা …

No comments

  1. salam guru salam ……………..!!!
    আল্লাহু আপনাকে অনেক বড় করুন ………উম্মতের আহাবায়োক হিসাবে …।

  2. জাযাকাল্লাহ

  3. AZHARUDDIN MALLICK

    জাযাকাল্লাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *