প্রচ্ছদ / কুরবানী/জবেহ/আকীকা / কুরবানির পশুর চামড়া ইমাম সাহেবকে দেওয়া যাবে কী?

কুরবানির পশুর চামড়া ইমাম সাহেবকে দেওয়া যাবে কী?

প্রশ্নঃ

মুহতারাম মুফতী সাহেব! আমাদের এলাকায় প্রচলন আছে, কুরবানীর চামড়া ইমাম সাহেবকে দেওয়ার।
জানার বিষয় হল, কুরবানির পশুর চামড়া মসজিদের ইমাম সাহেবকে দেওয়া জায়েজ হবে কী না?

প্রশ্নকর্তাঃ

মুহা. ইস্রাফিল।  রংপুর।

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا و مسلما

উত্তরঃ

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি চামড়া ইমাম সাহেবের ইমামতির ভাতা স্বরূপ দেওয়া হয়, তাহলে জায়েজ হবে না।
তবে যদি তিনার ইলম আমলের দিকে তাকিয়ে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হয় তাহলে জায়েজ আছে।

المستندات الشرعية

أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَخْبَرَهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ، وَأَنْ يَقْسِمَ بُدْنَهُ كُلَّهَا، لُحُومَهَا وَجُلُودَهَا وَجِلاَلَهَا، وَلاَ يُعْطِيَ فِي جِزَارَتِهَا شَيْئًا

আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাঁকে নবী (ﷺ) তাঁর নিজের কুরবানীর জানোয়ারের পাশে দাঁড়াতে আর এগুলোর সমুদয় গোশত, চামড়া এবং পিঠের আবরণসমূহ বিতরণ করতে নির্দেশ দেন এবং এর থেকে যেন কসাইকে পারিশ্রমিক হিসাবে কিছুই না দেওয়া হয়। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং: ১৬০৯, আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৭)

عن أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعا: من باع جلد أضحيته فلا أضحية له

আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রয় করবে তার কুরবানী হবে না। (মুস্তাদরাক হাকিম, হাদীস–৩৪৬৮; বাইহাকি, আস সুনানুল কুবরা, হাদীস–১৯২৩৩)

اعلاء السنن: (باب التصدق بلحوم الأضاحي، 29/17، ط: دار الکتب العلمیة)
ولأن ما یدفعه إلی الجزار أجرۃ عوض عن عمله وجزارته، ولا تجوز المعاوضة بشيء منھا، فأما إن دفع إلیه لفقرہ أو علی سبیل الھدیة، فلا بأس به؛ لأنه مستحق للأخذ۔

الھندیة: (301/5، ط: دار الفکر)
ولا أن يعطي أجر الجزار والذابح منها، فإن باع شيئا من ذلك بما ذكرنا نفذ عند أبي حنيفة ومحمد رحمهما الله تعالى، وعند أبي يوسف – رحمه الله تعالى -، لا ينفذ ويتصدق بثمنه، كذا في البدائع.

الهداية في شرح بداية المبتدي :4361

قال: “ولا يعطي أجرة الجزار من الأضحية” لقوله عليه الصلاة والسلام لعلي رضي الله عنه: “تصدق بجلالها وخطامها ولا تعط أجر الجزار منها شيئا” والنهي عنه نهي عن البيع أيضا لأنه في معنى البيع.

 

والله أعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।

সাবেক শিক্ষার্থী ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

সত্যায়নে

মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী (হাফি.)

পরিচালকতা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।

প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

0Shares

আরও জানুন

‘সুন্দর সম্পর্ক কেন নষ্ট করে দিলা’ বলার দ্বারা কি স্ত্রী তালাক হয়ে যায়?

প্রশ্ন আস্সালামুআলাইকুম মুফতি সাহেব, এই প্রশ্ন কয়েকটা আগেও করেছিলাম, উত্তর না পেয়ে আবার করছি| ওয়াসওয়াসা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *