প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / ব্যবহৃত স্বর্ণের যাকাত দিতে হয় না?

ব্যবহৃত স্বর্ণের যাকাত দিতে হয় না?

প্রশ্নঃ

সম্মানিত মুফতি সাহেব, আসসালামু আলাাইকুম, ব্যবহার করা স্বর্ণের জাকাত আসবে কি না? যেমন একটা আংটি আর কানে দুল, অন্য গহনার সঙ্গে মিলানো হবে কি না জাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে।

প্রশ্নকর্তা: আবদুল্লাহ, কুমিল্লা
From: Abdullah Tamim <atamim05@gmail.com>

 

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا و مسلما

উত্তরঃ 

 ফিকহে হানাফীতে সোনা, রূপা চাই তা ব্যবহৃত হোক অথবা অব্যবহৃত, একাকী নেসাব পরিমাণ হোক বা একাধিক যাকাত যোগ্য সম্পদকে মিলানোর মাধ্যমে হোক,  যদি তা নিসাব পরিমাণ হয়, তাহলে তাতে যাকাত ওয়াজিব।

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আংটি এবং কানের দুলকে অন্য গহনার সাথে মিলালে সাড়ে সাত ভরি (স্বর্ণের নিসাব) স্বর্ণের মূল্য  পরিমান হয়, তাহলে আপনি যাকাত আদায় করা ওয়াজিব।

দ্র: যাকাত যখন চন্দ্রবর্ষ পূর্ণ হবে, তখন স্বর্ণের মার্কেটভেলু অনুযায়ী টাকা নির্ণয় করে লাখে আড়াই পার্সেন্ট; আড়াই হাজার, হাজারে ২৫টাকা এবং শতে আড়াই টাকা করে হিসেব অনুযায়ী যাকাত প্রদান করবেন।

المستندات الشرعية

قال تعالى في سورة التوبة ، رقم الآية ٣٣: وَالَّذِیۡنَ یَکۡنِزُوۡنَ الذَّہَبَ وَالۡفِضَّۃَ وَلَا یُنۡفِقُوۡنَہَا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۙ  فَبَشِّرۡہُمۡ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ۙ.

و رواه الإمام أبي داود في سننه ، رقم الحديث : ١٥٦٣: عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ امْرَأَةً، أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهَا ابْنَةٌ لَهَا وَفِي يَدِ ابْنَتِهَا مَسَكَتَانِ غَلِيظَتَانِ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ لَهَا ” أَتُعْطِينَ زَكَاةَ هَذَا ” . قَالَتْ لاَ . قَالَ ” أَيَسُرُّكِ أَنْ يُسَوِّرَكِ اللَّهُ بِهِمَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ سِوَارَيْنِ مِنْ نَارٍ ” . قَالَ فَخَلَعَتْهُمَا فَأَلْقَتْهُمَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَتْ هُمَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلِرَسُولِهِ .

الدر المختار: ٢٩٥/٢: (ط: سعید)
نصاب الذہب عشرون مثقالاً فما دون ذٰلک لا زکاۃ فیہ، ولو کان نقصاناً یسیرا. انتهى

بدائع الصنائع: ١٨/٢: (ط: دار الكتب العلمية)
فأما إذا كان له ذهب مفرد فلا شيء فيه حتى يبلغ عشرين مثقالا فإذا بلغ عشرين مثقالا ففيه نصف مثقال؛ لما روي في حديث عمرو بن حزم «والذهب ما لم يبلغ قيمته مائتي درهم فلا صدقة فيه فإذا بلغ قيمته مائتي درهم ففيه ربع العشر» وكان الدينار على عهد رسول الله – صلى الله عليه وسلم – مقوما بعشرة دراهم.
وروي عن النبي – صلى الله عليه وسلم – أنه قال لعلي: «ليس عليك في الذهب زكاة ما لم يبلغ عشرين مثقالا فإذا بلغ عشرين مثقالا ففيه نصف مثقال. انتهى

وأيضاً فى الهداية: ١٩٦/١، و فى الهندية: ١٧٩/١ و فى التاتارخانية: ٢٣٧/٢، و فى المبسوط للسرخسى: ١٩١/٢. انتهى
والله أعلم بالصواب

উত্তর লিখনে
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।

সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা.

পরিচালক তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা

উস্তাজুল ইফতা জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।

প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

আরও জানুন

মহিলাদের এনআইডি কার্ড করার জন্য পর পুরুষের সামনে ছবি তুলতে মুখ খোলার হুকুম কী?

প্রশ্ন আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ৷ আহলে হক্ব মিডিয়া কর্তৃৃৃপক্ষ কে আসন্ন রমজানের শুভাচ্ছে রইল ৷ আমার প্রশ্নটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *