প্রচ্ছদ / আদব ও আখলাক / দ্বীনের কারণে কারো সাথে দূরত্ব তৈরী হলে কি গোনাহ হবে?

দ্বীনের কারণে কারো সাথে দূরত্ব তৈরী হলে কি গোনাহ হবে?

প্রশ্ন

আসসালামু আ’লাইকুম।

আল্লাহ তায়ালার দরবারে শোকরিয়া যে হক পৌছানো ও বুঝানোর জন্য এখনও কিছু আল্লাহর বান্দা নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে আহলে হক মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য দোয়া আল্লাহতায়ালা যেন আপনাদেরকে উপযুক্ত জাযায়ে খায়ের দান করেন।

আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা সমাধানের আশায় লিখছি।

আমার বয়স প্রায় 40 বছর। আমি চাকুরীর প্রয়োজনে বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছি। আমি চেষ্টা করি যথাসাধ্য দ্বীনের উপর চলার জন্য। আমার একটি সমস্যা হল দ্বীনদার মানুষ ছাড়া আমি মিশতে পারি না। এখানে আমার মেসে থাকতে হয়। মেসে তিনজনের অন্য দুইজন টিভি না দেখে পারে না। তারা প্রায় সময় টিভি চালায়। এটা আমি সহ্য করতে পারিনা। তাই প্রায় সময় আমি রুমের বাইরে থাকি। এ ব্যাপারটা নিয়ে রুমমেটদের সাথে অনেক মনোমালিন্য হয়েছে। আমি কোন কথা বললে ওরা জবাব দেয়। এছাড়া ওরা আমার সাথে একান্ত জরুরত ছাড়া কোন কথা বলে না। এই অবস্থায় আমি এখন টিভির বিষয়ে কোন কথা বলি না। দ্বীনদার কয়েকজন আমাকে পরামর্শ দিল ধৈর্য্য ধরে থাকার জন্য। কারণ এখানে আমার আর 23 মাস থাকার কথা। এখন আমার প্রশ্ন হল:

1, এই অবস্থায় আমার করণীয় কি ?

2, সবার সাথে ভাল না মিশতে পারার কারণে আমাকে একাকীত্ব জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এজন্য কি করতে পারি ?

3, রুমমেটদের সাথে এমন সম্পর্ক এবং কথা কম হওয়ার কারণে আমার কি গুণাহ হচ্ছে ?

4, ওরা আমাকে ঘৃণার চোখে দেখে । এইজন্য আমার কি কিছু করণীয় আছে?

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

দ্বীনদার ব্যক্তিদের সাথে মিশা এবং দ্বীনহীন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা এটা ভালো গুণ।

তবে তাদেরও সঠিক পথে আনার চেষ্টা করে যেতে হবে।

সম্ভব না হলে চুপ থাকা এবং দূরে থাকাই সঠিক।

আপনি দ্বীনের কারণে যেহেতু তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন, তাই তাদের কথা না বলা বা ঘৃণা করার দ্বারা আপনার কোন গোনাহ হবে না। এর দ্বারা তারা নিজেদের পাপের বোঝা বৃদ্ধি করছে।

 

عَنْ ‌أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ ‌الْحُبُّ ‌فِي ‌اللهِ وَالْبُغْضُ فِي اللهِ

হযরত আবূ যর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, উত্তম আমল হলো: আল্লাহর জন্য কাউকে মোহাব্বত করা, এবং আল্লাহর জন্যই কারো প্রতি বিদ্বেষ রাখা। [সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-৪৫৯৯]

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল[email protected] 

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *