প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / ২৭শে রজব রোযা রাখলে ৬০ মাস রোযা রাখার সওয়াব?

২৭শে রজব রোযা রাখলে ৬০ মাস রোযা রাখার সওয়াব?

প্রশ্ন

আসসলামুআলাইকুম

জনাব মুফতি সাহেব,

খুতবাতুল আহকাম গ্রন্থের ১৪২ নাম্বার পৃষ্ঠায় একটি মওকুফ রেওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে, তিনি বলেন যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখে রোযা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার আমল নামায় ৬০ মাস রোযা রাখার ছাওয়াব লিখে দিবেন। মোহতারামের কাছে জানতে চাচ্ছি উক্ত রেওয়াতের গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু। আশা করি জানিয়ে বাধিত করবেন। জাজাকাল্লাহ খায়ের।

আশিকুর রহমান

সিলেট

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

এ সংক্রান্ত বর্ণনাটি হল,

عن أبي هريرةَ رضيَّ اللهُ عنه قالمَنْ صام يومَ سبعٍ وعشرينَ من رجبٍ كُتبَ له صيامُ ستِّينَ شهرًا

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে মওকূফ সূত্রে বর্ণিত যে, যে ব্যক্তি রজবের ২৭ তারিখে রোযা রাখবে, আল্লাহ তাআলা তার আমলনামায় ৬০ মাস রোযা রাখার সওয়াব লিখে দিবেন। [তাবয়ীনুল আযব, বর্ণনা নং-৪৫]

ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন, এর সনদ মওকুফ এবং জঈফ।

অনেকেই এর বর্ণনাকে মুনকারও বলেছেন। সুতরাং এ বর্ণনাটি সহীহ বলার সুযোগ নেই।


فلم يصح في شهر رجب صلاة مخصوصة تختص به و الأحاديث المروية في فضل صلاة الرغائب في أول ليلة جمعة من شهر رجب كذب و باطل لا تصح و هذه الصلاة بدعة عند جمهور العلماء و من ذكر ذلك من أعيان العلماء المتأخرين من الحفاظ أبو إسماعيل الأنصاري و أبو بكر بن السمعاني و أبو الفضل بن ناصر و أبو الفرج بن الجوزي و غيرهم إنما لم يذكرها المتقدمون لأنها أحدثت بعدهم و أول ما ظهرت بعد الأربعمائة فلذلك لم يعرفها المتقدمون و لم يتكلموا فيها و أما الصيام فلم يصح في فضل صوم رجب بخصوصه شيء عن النبي صلى الله عليه و سلم و لا عن أصحابه (لطائف المعارف،  ذكر ما يتعلق برجب من أحكام-131)

অনুবাদ-মাহে রজবে বিশেষ কোন নামায প্রমাণসিদ্ধ নয়, রজবের প্রথম শুক্রবারে সালাতুর রাগায়েবের ফযীলত সম্পর্কীয় হাদীসসমূহ বাতিল, মিথ্যা ও বানোয়াট। বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরামের মতে এটি একটি নব আবিস্কৃত নামায। পরবর্তী যুগের অগাধ জ্ঞানের অধিকারী বিদগ্ধ ওলামায়ে কিরাম যারা এটি বিদআত আখ্যা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন আবু ইসমাঈল আনসারী, আবু বকর ইবনে সামআনী, আবুল ফযল ইবনে নাসের ও আবুল ফারায বিন জাওযী রহঃ প্রমূখ।

পূর্ববর্তীরা এ নিয়ে আলোচনা করননি। কেননা তাদের [ইন্তেকালের বেশ] পরে তা আবিস্কৃত হয়েছে। চারশত হিজরীরও পরে এটির প্রকাশ ঘটে। তাই পূর্ববর্তীদের নিকট এটি পরিচয় ঘটেনি এবং তারা এ ব্যাপারে কিছু বলে যাননি।

আর রোযা! রজব মাসের রোযার বিশেষ ফযীলতের কথা রাসূল সাঃ থেকে প্রমানিত নয়, সাহাবীদের থেকেও নয়। (লাতায়েফুল মাআরিফ-১৩১)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *