প্রচ্ছদ / দান-সদকা-হাদিয়া / হারাম টাকা মাদরাসা মসজিদে ব্যয় করার হুকুম কি?

হারাম টাকা মাদরাসা মসজিদে ব্যয় করার হুকুম কি?

প্রশ্ন

From: জাবের আল হুদা চৌধুরী

Subject: হারাম মাল দান করা প্রসঙ্গে
Country : হবিগঞ্জ, বাংলাদেশ
Mobile :

Message Body:

ব্যাংক থেকে অর্জিত সুদী মাল এছাড়া অন্য কোনভাবে অর্জিত হারাম সম্পদ মাদরাসা-মসজিদে ব্যয় করা যাবে কি? ফিক্বহের দৃষ্টিতে জানালে কৃতার্থ হবো।

 

জবাব

بسم الله الرحمن الرحيم

فى معارف السنن- من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

 

ব্যাংকের সুদ উসূল করে নিবে। যেহেতু না উঠালে তারা এ দিয়ে আরো সুদের কারবার করবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/২৬৯, কিফায়াতুল মুফতী-৭/১০৫}

 

হারাম মাল যদি মূল মালিকের কাছে ফেরত না দেয়া যায় কোন কারণে তাহলে সে হারাম মাল মসজিদে ব্যয় করা যাবে না এ ব্যাপারে কোন মতান্তর নেই। সকল ফুক্বাহায়ে কিরাম ঐক্যমত্ব পোষণ করেছেন।

কিন্তু মাদরাসা বা অন্য কোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যাবে কি না? এ ব্যাপারে মতান্তর রয়েছে।

একদল বিজ্ঞ ফক্বীহদের মতে হারাম মাল যদি মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া না যায়, তাহলে তা শুধু গরীবদেরই দান করা যাবে। অন্য কোন সামাজিক বা ব্যক্তিমালিকানা সাব্যস্ত হয়না এমন কোন কাজে ব্যয় করা যাবে না। {ইমদাদুল মুফতীন-৫৪৫} সে হিসেবে মাদরাসাতেও ব্যয় করা যাবে না। অন্য কোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ যাতে ব্যক্তি মালিকানা নেই তাতেও ব্যয় করা যাবে না।

 

কিন্তু আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর বক্তব্য এবং যফর আহমাদ উসমানী রহঃ এর বক্তব্য, এবং মুফতী কিফায়াতুল্লাহ রহঃ এর ফাতওয়া, সেই সাথে পাকিস্তানের দারুল উলুম করাচীর প্রধান মুফতী মুফতী রফী উসমানী দাঃ বাঃ এবং মুফতী তাক্বী উসমানী দাঃ বাঃ এবং মুফতী ইমরান আশরাফ উসমানী দাঃ বাঃ এর ফাতওয়া হল-এসব সম্পদ দান করার জন্য মালিকানা সাব্যস্ত হয় এমন শর্ত জরুরী নয়। তাই মাদরাসায় এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও তা ব্যয় করা যাবে।

 

ওনাদের দলিল হল-ফিক্বহী কিতাবে হারাম মালকে ওয়াজিবুত তাসাদ্দুক তথা দান করা আবশ্যক বলা হয়েছে। কোথাও ওয়াজিবুত তামাল্লুক তথা মালিকানা বানিয়ে দেয়া আবশ্যক বলা হয়নি। দান করা আবশ্যকতার বক্তব্য দ্বারা অনেকের ধারণায় সেটি মালিকানাও সাব্যস্ত করে দিতে হবে বলে অনেকের মনে এ সন্দেহ হয়েছে। মূলত এ ধারণার পক্ষে শক্তিশালী কোন দলিল নেই। তাই হারাম মাল মূল মালিকের কাছে ফেরত দিতে না পারলে তা মাদরাসায় ব্যয় করা বা অন্য কোন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে কোন সমস্যা নেই বলেই প্রতিয়মান হয়।

বিস্তারিত জানতে পড়ুন-

১-ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/১২৯-১৪০

২-মুফতী কামালুদ্দীন রাশেদী সংকলিত মালে হারাম-২৪৯-২৮৩

৩-কিফায়াতুল মুফতী-৭/১০৫

৪-ইমদাদুল ফাতওয়া-২/৫৮৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালকতালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- [email protected]

[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *