সুদ ও ঘুষ লেনদেনে বাধ্য ব্যক্তির করণীয় কী?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম

আমাদের দেশে, সমাজে, অফিস, আদালতে এমন ভাবে সুদ ঘুস চালু আছে যে কারণে আমরা সুদ ঘুস না দিতে চাইলেও অনেকটা বাধ্য হয়েই দিতে হচ্ছে এবং সুদ ঘুস এর কাগজ পত্র লিখতে হচ্ছে । এখন  আমরা  যারা চাকুরী করি তারা কি করব কোথায় যাব সব জায়গায় একেই অবস্থা । এই ক্ষেত্রে আমাদের কি করণীয় ? শরিয়তের আলোকে সমাধান চাই।

প্রশ্নকর্তা-ইখতিয়ার, আরিফ, রাসেল ,আব্দুল মান্নান

মিরপুর – ০২, ঢাকা

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আসলে এ বিষয়টি খুবই কঠিন। হাদীসে সুদ দেয়া, নেয়া এবং সুদী কাজে সহযোগীতা করা সবই অভিশপ্ত কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাই এ থেকে সর্বাত্মকভাবে বেঁচে থাকতে হবে।

বাকি বাধ্য হলে সুদ এবং ঘুষ দেয়া জায়েজ আছে। কিন্তু সুদ বা ঘুষ গ্রহণ করা কিছুতেই জায়েজ নয়।

তা’ই এসব মুহুর্তে অনুন্যোপায় হলে সুদ বা ঘুষ দিতে পারেন। কিন্তু সুদ বা ঘুষ গ্রহণ করা কিছুতেই জায়েজ নয়।

সুদ ঘুষ লেনদেন ছাড়া ভাল কোন চাকরি বা ব্যবসার চেষ্টাও  চালিয়ে যেতে পারেন। আর আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বদা ইস্তিগফার করতে থাকেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা আপনার হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দিবেন।

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

دفع المال للسلطان الجائر لدفع الظلم عن نفسه وماله ولاستخراج حق له ليس برشوة يعني في حق الدافع (رد المحتار، كتاب الحظر ولاباحة-9/607، فتح القدير، كتاب ادب القاضى-7/255، البحر الرائق، كتاب القضاء-6/262

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- [email protected]

[email protected]