প্রশ্ন
From: আল রাজী
বিষয়ঃ নামাজ
প্রশ্নঃ
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,হুজুর আমি জানতে চাচ্ছি, সালাতুল হাজাত নামায প্রসঙ্গে,মনে করুন একজন মানুষের বৈধ হাজত হচ্ছে ০৪ টি,এই বৈধ হাজতগুলা পূরণ হওয়ার জন্য সে যদি প্রতিরাত ঘুমানোর পূর্বে ০২ রাকাত সালাতুল হাজতের নামায আদায় করে এবং নামায শেষ হবার পর এই বৈধ হাজতগুলা পূরণ হওয়ার জন্য দোয়া করে,এইভাবে হাজত পূরণ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিরাত্রে সালাতুল হাজতের ০২ রাকাত নামায আদায় করলে গুনাহ হবে কি? বা সেটা কি সহিহ হবে না ভুল হবে?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
না। গোনাহ হবে না। এভাবে আদায় করতে পারেন।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ كَانَتْ لَهُ إِلَى اللَّهِ حَاجَةٌ أَوْ إِلَى أَحَدٍ مِنْ بَنِي آدَمَ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلْيُحْسِنِ الْوُضُوءَ ثُمَّ لْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ لْيُثْنِ عَلَى اللَّهِ وَلْيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ ”
আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির আল্লাহ তা’আলার কাছে অথবা কোন আদম সন্তানের কাছে কোন প্রয়োজন রয়েছে সে যেন প্রথমে উত্তমরূপে ওযু করে, তারপর দুই রাকাআত নামায আদায় করে, তারপর আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করে, তারপর এ দু’আ পাঠ করেঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ
অর্থাৎ “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তা’আলা খুবই পবিত্র। সকল প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার নিকট তোমার রাহমাত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভাল কাজের ঐশ্বর্য এবং সকল খারাপ কাজ হতে নিরাপত্তা চাইছি। হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা কর, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও।” [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৭৪৯]
ইমাম শামী রহঃ তাজনীছ নামক কিতাবের বরাতে উল্লেখ করেছেন যে, হাজতের নামায ইশার পর চার রাকাত পড়বে। যার তারতীব হল, প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর তিনবার আয়াতুল কুরসী পড়বে। তারপর বাকি দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাছ একবার করে পড়বে।
মাশায়েখগণ বলেন যে, আমরা এভাবে আমাল করে আমাদের জরুরত পূর্ণ হয়েছে।
এভাবেও করা যেতে পারে। তবে এ পদ্ধতি হুবহু সুন্নাত নয়।
وأما فى التجنيس وغيره فذكر أنها أربع ركعات بعد العشاء، وإن فى الحديث المرفوع يقرأ فى الأولى الفاتحة مرة وآية الكرسى ثلاثا وفى كل من الثلاثة الباقية يقرأ الفاتحة والإخلاص والمعوذتين مرة مرة كن له مثلهن من ليلة القدر، قال مشائخنا: صلينا هذه الصلاة فقيضت حوائجنا الخ (رد المحتار-2\473)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]