প্রশ্নঃ
হুজুর আসালামু আলাইকুম। আমি তিব্র ওয়াস ওয়াসার রুগি। আমার কেবল হয় এই বুঝি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে, হুজুর বিয়ের কাবিন হয় আগে। তো আমি এটা ঠিক করে জানতাম না, আমি আমার স্বামীকে বিয়ের আগে বলি এ তালাকের অধিকার আমি নেব না, না লিখে দেবেন। ইন্ডিয়াতে দুই জায়গা থাকে যে তালাকের অধিকারের জায়গা থাকে না লিখে দিলেও আর এক জায়গায় না জানিয়ে আমাদেরকে সই করিয়ে নেয়।বিয়ের পর যখন আমার কাবিন হাতে পায় তখন ভয়ে তাকে বার বার লেখায় আমি ফেরত দিলাম আপনি দয়া করে ফেরত নিন লিখে। কারণ আমি শায়খ আহমদ উল্লাহ আর কয়েকজন ব্যক্তির দেখেছিলাম যেখানে নাকি এভাবে বললে ফেরত হয় অধিকার,তাই আমি ফেরত দিয়েছিলাম এভাবে। একদিন আমি সন্ধ্যা বেলায় সে ফোন এ ক্লাস করছিল তখন আমি লেখা নিয়ে আসি যে ফেরত দিলাম লেখে যদিও দেইনি ফেরত দিলাম, এখানে সে ভুল করে আমার উপরে লেখা ফেরত দিলাম এর দিলাম ও ভুলবশত দিলাম লিখে ফেলে,যেখানে ওর লেখা দরকার ছিল ফেরত নিলাম। আমি তৎক্ষণ ইশারাই দেখালে ও আবার ঠিক করে লেখে ভুল হয়ে যায় এবং এই লেখা লেখে যে ফেরত নিলাম কারণ আমি কাঁদছিলাম। এরপর আমার প্রচন্ড ওয়াসওয়াসা জাগায় তখন আমি তাকে বলি যে ভুলবশত লিখলেও আপনি কি ওই মজলিশের জন্য ভুল করেছিলেন ও বলল ওরকম কিছু না বাই মিসটেক লিখে ফেলেছিল, আমি বললাম বাই মিসটেক লিখল যে কটা নিয়েত থাকে সে কটা হয় আমি শুনেছি মুফতির কাছে। আমি বললাম আপনার মনে কোন নিয়ত ছিল না সে বল্ল হুম কবার বলতে হবে।সে আগেও একদিন বলেছিল নিয়েত ছিলান।।আমি বললাম ওই সময়ের জন্য ইয়ে করে ফেলেছিলেন মানে ভুল করে সে বল্ল হুম তার পর আমি বলতে যাচ্ছিলাম অন্যথা অন্য সময়ের জন্য না সে পুরো কথাটা হওয়ার আগেই বল্ল ওই মুহুর্তের জন্য নয় তোমার ওই উপরের লেখাটা দেখে লেখা।তার পর আমি যেই বললাম অন্য কোন সময় বা (তখন আমার কথার মাঝে তার হুম মত আওয়াজ হল)সারাজীবন এর জন্য না তাই ত সে চুপ থাকলে আমি বললাম হুম? সে বল্ল হুম বলে আগে বললাম ত তখন আমি আবার বললাম যে অন্য কোন সময়ের জন্য বা সারাজীবন এর জন্য না তাই ত সে বল্ল হুম মানে না আমি তোমার কথার উত্তর দিচ্ছি বুঝতে পারছনা।এই যে অন্য কোন সময়ের জন্য বা এর পিছনে ওর হুম মত আওয়াজ হল এতে কি আমার কাছে তাফবিজের অধিকার চলে এল হুজুর সাহেব? যদিও আমি তাকে এটাই বলি এই ছিল অন্য কোন সময় বা সারাজীবন এর জন্য না সে সেখানে সম্মতি দেয়।সে লিখেও এটা বলে যে অন্য কোন সময়ের বা সারাজীবন এর জন্য অধিকার না এতে তার সম্মতি আল্লাহর কসম। আমি তাকে বলি আপনি কেন এই কথার মাঝে অন্য কোন সময়ের বা বলার পর হুম মত আওয়াজ করলেন এটা রেকর্ড করা ছিল তাকে শোনালে সে বলে সে শুনতে পাচ্ছেনা। সে অন্য কোন সময়ের বা সারাজীবন এর জন্য না এর পর যে হুম সেটাই শুনতে পেয়েছে এবং তাতে সহমত ছিল বলেই হুম বলেছিল।তার কথা আল্লাহর কসম সে কোন অধিকার দেইনি।কিন্তু আমার ভয় লাগছে যে কথার মাঝে যে হুম টা সে ভুল বশত ও যদি বলে তাহলেও কি অধিকার চলে আসে? সে হাজার বার লিখেছে আমার কান্না দেখে যদিও সে অধিকার দেইনি তবুও ফেরত নিচ্ছে?হুজুর এরকম কথার ফাকে কেও ভুল করে বা অভ্যাস বশত বা অনেকে আছে কথা শুন্তে শুনতে হুম হুম এরকম করে,এতে কি অধিকার চলে আসে?
২.অন্য কোন সময়ের জন্য যদি কোন বর অধিকার দিয়েও দেয় বউ এর রিকুয়েষ্টে
ফেরত নিলে কি তাফবিজের অধিকার শরয়ত ভাবে ফেরত হয়?
হুজুর দয়া করে উত্তর দিন।আমি ওয়াসওয়াসার জন্য বাচতে পারছিনা,হয়ত মরেই যাব।
From: Nira Sardar <[email protected]>
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উত্তর:
প্রশ্নোক্ত বিবরণ মতে আপনার উপর কোন তালাক পতিত হয়নি। এবং কি আপনার প্রতি তালাকে তাফবিজও অর্পিত হয়নি। কেননা, বিবাহের আগে এই ধরণের কার্যকালাপে কখনো তাফবিজ হয়না।
উল্লেখ্য, তালাকের অধিকার কখনো ফিরিয়ে নেয়া যায় না। তালাক খুবই স্পর্শ কাতর বিষয়। নিচের লিংকে আপনার পূর্বের প্রশ্নের উত্তর রয়েছে।
পরামর্শ: আপনার ওয়াসা রোগ দূর করার জন্য মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। এই বিষয়ের লিখা/ আলোচনা ইত্যাদী এড়িয়ে যেতে হবে।
এবং কি এসকল বিষয় মাথায় আসলে সাথে সাথে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। এবং বেশি বেশি আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম ও লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়বেন।
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
ختصار. (ردالمحتار: 4 /224)
والله أعلم بالصواب
উত্তর লিখনে,
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।
সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা.
পরিচালক– তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।
Ahle Haq Media আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস