আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু একাধিক হাদীস ও অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীর আমল একথা প্রমাণ করে যে, নামাযে শুধু প্রথম তাকবীরের সময় কান পর্যন্ত হাত তোলা সুন্নত। রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু থেকে ওঠার সময় হাত তোলা সুন্নত নয়। সাহাবীগনের যুগে মদীনা শরীফ এবং কুফা এই দুটি শহরেই অধিকাংশ সাহাবী …
আরও পড়ুনআল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং দ্বীনের প্রতি মুহাব্বত
আল্লামা মনজূর নূমানী রহঃ প্রিয় ভাই! যেমনিভাবে ইসলাম আমাদেরকে নামায-রোযার তালিম দেয়, সদাচার ও ন্যায় বিচারের শিক্ষা দেয়, তেমনি এ শিক্ষাও দেয় যে, দুনিয়ার সবকিছু থেকে এমনকি নিজের জান-মাল, ইজ্জত-সম্মান, পিতা-মাতা, বিবি-বাচ্চা সবকিছু থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং দ্বীনকে আমরা বেশি মুহাব্বত করবো। অর্থাৎ যদি এমন কঠিন মুহূর্ত আসে …
আরও পড়ুনস্বশব্দে আমীন বলার হাদীসগুলো কী সহীহ?
আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু জোরে আমীন বলার হাদীস : একটু পর্যালোচনা জোরে আমীন বলা সম্পর্কিত হাদীসগুলি সম্পর্কে মূল কথা হলো, যেটি সহীহ, সেটি সুস্পষ্ট(صريح) নয়। আর যেটি সুস্পষ্ট সেটি সহীহ নয়। যেমন: ১ বুখারী ও মুসলিম প্রভৃতি গ্রন্থে اذا امن الامام فامنوا হাদীসটি উদ্ধৃত হয়েছে। এ বাক্যটির একটি অর্থ …
আরও পড়ুনসহীহ হাদীসের আলোকে নামাযে নিরবে আমীন বলা সুন্নত
আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু আমীন সম্পর্কেও কিছু লোক বাড়াবাড়ি করে। তারা বলে নামাযে আমীন জোরে বলতে হবে। আস্তে বলা সুন্নতের পরিপন্থী। তাদের একথা সঠিক নয়। হাদীস শরীফ, অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ী’র আমল দ্বারা একথাই প্রমাণিত হয় যে, আমীন আস্তে বলাই সুন্নত। নিমস্বরে আমীন বলা অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীর আমল …
আরও পড়ুনশহীদের মর্যাদা ও ফযীলত
আল্লামা মনজূর নূমানী রহঃ যদি দ্বীনের উপর অবিচল থাকার কারণে আল্লাহ পাকের কোনো বান্দা-বান্দীকে হত্যা করা হয়, অথবা দ্বীনের পথে জিহাদ ও মেহনত করতে গিয়ে কারো মৃত্যু হয়, তবে শরীয়তের পরিভাষায় তাকে শহীদ বলে। আল্লাহ পাকের দরবারে শহীদের অনেক অনেক মর্যাদা। কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ …
আরও পড়ুনদরুদ ও সালাম
আল্লামা মনজূর নূমানী রহঃ দরুদ এবং সালামও এক প্রকার দুআ। আল্লাহ পাকের নিকট নবীজীর জন্য আমরা এ দুআ করে থাকি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বস্তুত আমাদের উপর আল্লাহ তাআলার পরে নবীজীর অনুগ্রহ সবচে বড়। তিনি হাজারো বিপদ-মুসিবত অতিক্রম করে আমাদের পর্যন্ত দ্বীন পৌঁছিয়েছেন। যদি তিনি সীমাহীন ত্যাগ ও কোরবানী স্বীকার …
আরও পড়ুনদ্বীনরক্ষা ও প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তি ব্যয় করা
আল্লামা মনজূর নূমানী রহঃ আমরা যে সত্য ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং যে পরকালমুখী সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করছি, তা যেন সর্বাস্থায় সুরক্ষিত থাকে এবং ক্রমেই যেন পৃথিবীময় বিস্তৃতি ও প্রতিষ্ঠা লাভ করে এজন্য সর্ব শক্তি নিয়োগ করা আমাদের একান্ত কর্তব্য । দ্বীনী পরিভাষায় একে ‘জিহাদ’ বলে। মুমিনদের প্রতি জিহাদ আল্লাহ …
আরও পড়ুনদ্বীনের খেদমত ও দাওয়াত
আল্লামা মনজূর নূমানী রহঃ নিজে ঈমান আনা এবং শরীয়ত মতো চলা যেমন ফরজ, তেমনি যারা দ্বীন ও শরীয়ত সম্পর্কে অনবহিত, ঈমান ও তাকওয়ার আলোকিত পথের বিষয়ে যারা অনবগত, তাদেরকেও যথাসম্ভব দ্বীন সম্পর্কে অবগতি দান করা এবং সামর্থ অনুসারে দ্বীনের উপর চালানোর চেষ্টা করা সবার উপর ফরজ। আল্লাহ তাআলার নিকট তাবলীগ …
আরও পড়ুনতওবা ও ইস্তিগফার
আল্লামা মনজূর নূমানী রহঃ আল্লাহ তাআলা নবী পাঠিয়েছেন এবং কিতাব দান করেছেন যেন মানুষ যেন ভালোমন্দ বুঝতে পারে। সওয়াবের কাজ থেকে গোনাহের কাজকে পৃথক করে নিতে পারে। সৎ পথে চলে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি এবং অন্যায় পথ ত্যাগ করে পরকালের মুক্তি অর্জন করেতে পারে। তাই যারা নবী-রাসুলগণ এবং আল্লাহর কিতাবসমুহের উপর …
আরও পড়ুনদুআ ও পার্থনা
আল্লামা মনজূর নূমানী রহঃ এটা সর্বজনস্বীকৃত সত্য যে, এই পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহ পাকের হুকুমে চলছে। ছোটবড় সব কিছু তার কুদরতি কব্জায় রয়েছে। সুতরাং সকল সমস্যায় তাকে ডাকা এবং সকল প্রয়োজনে তার নিকট দুআ করা একান্ত স্বভাবসিদ্ধ বিষয়। এই জন্য সকল ধর্মে প্রার্থনার বিধান রয়েছে। সবাই আপন আপন প্রয়োজনে সৃষ্টিকর্তার নিকট …
আরও পড়ুন