নামায/সালাত/ইমামত

সহীহ দলীলের আলোকে ইমামের পিছনে মুক্তাদীর ফাতিহা পড়ার বিধান

আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ইমামের পেছনে মুকতাদী সূরা ফাতেহা বা অন্য কোন সূরা পড়বে না। এর প্রমাণগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলো : জাহরী নামাযে ফাতেহা না পড়ার দলিল : ১. আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন ” وإذا قرئ القرآن فاستمعوا له وأنصتوا لعلكم ترحمون “ অর্থ: আর যখন কুরআন পড়া হয় তখন …

Read More »

ছানা কোনটি পড়া উত্তম?

আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু হাদীস শরীফে একাধিক ছানার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে ইমাম আবূ হানীফা র. ও ইমাম আহমাদ র. দুজনেরই মত হলো, নামাযে তাকবীর (আল্লাহু আকবার ) বলার পর এভাবে ছানা পড়া উত্তম: سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك ولا إله غيرك এমতের পক্ষে প্রমাণগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলো: ১. আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, وسبح بحمد ربك حين …

Read More »

জোড় শব্দে ইকামত দেওয়ার দলীলসমূহ

আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু ১. হযরত আব্দুর রাহমান ইবনে আবী লায়লা র. বলেন: حَدَّثَنَا أَصْحَابُ مُحَمَّد صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؛ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ زَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ ، رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ رَجُلاً قَامَ وَعَلَيْهِ بُرْدَانِ أَخْضَرَانِ عَلَى جِذْمَةِ حَائِطٍ ، فَأَذَّنَ مَثْنَى ، وَأَقَامَ مَثْنَى …

Read More »

মুযাফফর বিন মুহসিনের ছালাত বইয়ে উদ্ধৃত হাত বাঁধা সংক্রান্ত আলোচনার পর্যালোচনা

আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু আগের লেখাটি পড়ে নিনঃ বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীস : একটু পর্যালোচনা এ মাসআলায় আমাদের লা-মাযহাবী বন্ধু মুযাফফর বিন মুহসিন তার লেখা ‘জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছা:)এর ছালাত’ নামক বইটিতে যেসব দলিলপ্রমাণ পেশ করেছেন, পাঠকদের জ্ঞাতার্থে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা তুলে ধরা হলো। ১ বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছসমূহ শিরোনামে লেখক এক নম্বরে হযরত সাহল …

Read More »

বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীস : একটু পর্যালোচনা

আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু পূর্বের লেখাটি পড়ে নিন নামাযে কব্জির উপর হাত বেঁধে নাভির নীচে রাখা সুন্নত যেসব হাদীস দ্বারা বুকের উপর হাত বাঁধার প্রমাণ পেশ করা হয়, তার একটিও সহীহ নয়। নিম্নে পর্যালোচনাসহ হাদীসগুলো তুলে ধরা হলো। ১ হযরত ওয়াইল রা. বলেছেন, صليت مع رسول الله صلى الله عليه و سلم ووضع يده اليمنى على يده اليسرى على …

Read More »

নামাযে কব্জির উপর হাত বেঁধে নাভির নীচে রাখা সুন্নত

আল্লামা আব্দুল মতীন দামাত বারাকাতুহু নামাযে বাম কব্জির উপর ডান হাত রেখে দু’আঙ্গুল দ্বারা চেপে ধরা সুন্নত। একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা এ আমল প্রমাণিত । চার মাযহাবের সকল ইমাম ও আলেম এটাকেই সুন্নত পদ্ধতি আখ্যা দিয়েছেন। পক্ষান্তরে কনুই পর্যন্ত হাত রাখার পক্ষে কোন হাদীস নেই। পূর্বসূরিগণের কারো আমলও নেই। এমনিভাবে নাভির নীচে হাত রাখা সুন্নত। ইমাম আবূ হানীফা র. ও …

Read More »

মক্কায় মুকীম ব্যক্তি আরাফা মুযদালিফায় জামাতে কসর পড়বে নাকি পূর্ণ নামায পড়বে?

প্রশ্ন السلام عليكم ورحمة الله জনাব, আমার একটা প্রশ্ন, ☆আমি মুকিম (মক্কা থাকি ) আরাফাতের মসজিদে যোহরের এবং আছরের নামাজ জামাতে দুই রাকাত পড়ানো হয় , আমিও কি দুই রাকাত পড়বো? নাকি ইমাম সাহেবের সালাম ফেরানোর পরে দাঁড়িয়ে গিয়ে চার রাকাত সম্পন্ন করব? আর যদি জামাত না পাই তাহলে কিভাবে যোহর ও আছরের নামাজ পড়তে হবে? শুকরান । উত্তর وعليكم …

Read More »

ফরজ ও সুন্নত নামাযের মাঝে পার্থক্য কী?

প্রশ্ন ফরজ ও সুন্নত নামাজের মাঝে ব্যবধান নিয়ে কি কোন হাদীস আছে? জানালে উপকৃত হব। মাহবুব উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم ফরজ নামায ছেড়ে দিলে মারাত্মক গোনাহ হয়। তার দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ হয়ে যায়। কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।  এ মর্মে অনেক হাদীস এসেছে। কিন্তু সুন্নত নামাযের ক্ষেত্রে ফরজের মত এমন ধমকি আসেনি। তবে সুন্নতের উপর আমল করাও উম্মতী …

Read More »

মিনার তাঁবুতে যোহর ও আসরের নামায এক আজানে দুই ইকামতে আদায় করা যাবে কি?

প্রশ্ন মিনার তাঁবুতে নামায আদায় করলে ৯ই জিলহজ্ব যোহর ও আছর এক আজানে দুই ইকামতে আদায় করলে কোন সমস্যা আছে কি না? ইমাম আবু হানীফা রহঃ ছাড়া অন্য সকল ইমাম এবং ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর বিখ্যাত বিখ্যাত দুই ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ ও অন্য আরেকজন এ মতটাকাকেই নাকি প্রাধান্য দিয়েছেন? অর্থাৎ তাবুতে ৯ই জিলহ্জ যোহর ও আছর একত্রে আদায় …

Read More »

মক্কায় মুকীম ব্যক্তি মিনা আরাফা মুজদালিফায় ও মুকীম থাকবে না মুসাফির?

প্রশ্ন ৮ই জিলহজ্বের পূর্বে মক্কায় মুকীম হিসেবে অবস্থান করে মিনা আরাফা মুজদালিফায় মুসাফির হিসেবে বিবেচনা করে আমল করা যাবে কিনা? উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم কোন ব্যক্তি যদি প্রথমেই মক্কায় পনের দিন অবস্থান করে ফেলে, তাহলে সে মুকীম হয়ে যায়। এরপর মিনা, মুযদালিফা এবং আরাফায়ও মুকীম হিসেবেই বাকী থাকে। তাই এ সময়গুলোতে নামায কসর করা যাবে না। বরং পূর্ণ নামায …

Read More »
Ahle Haq Media