অন্যের তালাকের বিষয়ে আলোচনা করলে তালাক হয়?

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম হুজুর দয়া করে আমার ইমেল উত্তর দিয়েন আমি এমনিতেও ওয়াসাওয়াসা রোগী আমার স্বামী দুই দিন রাতে তালার বিষয় নিয়ে কথা বলছে আমাদের এক আত্মীয়  তার বউ কে তালাক দিয়ে দিছে নাকি দিবে এটা নিয়ে  প্রথম  দিন  আমি বলছি লাম মানে মেয়ে   স্বামী বলছে  এক জনে তালাক দিয়ে দিলে হয় যে তালাক দিয়ে দিছেনে আমি বলছি আমি জানি না সুনছিলাম দিয়ালাইছে স্বামী বললো দিয়ালাইলে হিতিরে ভয় পার কেনো টাকা দিয়ে দিবে চলে জাবে হেতে তালাক কেমনে দিছে কাগজে সাইন করে দিলে হিতির গো বাড়িতে গেছেনি আমি বলছি জানি না এর পারে  বলে আমার এখানে একটা লোক আছে তার বউ বলে চলে জাবে সে বলে দিবেনা মেয়ে পরিবার কোট থেকে তালাক নিয়েনিছে  এখন  টাকার জন্য চাব দের এর পরে আর কথা হয়নি তার দুই পরে আমার স্বামী বললো মনে হয় তোমার বোনের যালকে আনবে আমি বলছি তালাক দিয়ালাইছে আমার স্বামী বললো তালাক দিলে.. হিতি আর আইবোও কেমনে হেতে তালাক দিয়ালাইচে হেতে তালাক দিয়ালাইলে  হেতারা ড়রার কিল্লাই দিয়ালাইলে শেষ স্বামী আবার  ওনার সেখানের  লোক টার কতা বললে  আরো কিছু খন কথা হয় অন্যদেরএই বিষয়ে গুলো নিয়ে  কথা  হয়  কিন্তু  পারে আমার  মনে সন্দেহ হয়  আমার স্বামী  কথা গুলো বলার সময় কি বলছিলো তালাক দিছি এই  ওয়াসাওয়াসা কারনে আমি আমার স্বামী কে বললি আমি যে টা কথা বলতেছি সুনেন আপনি কি দুই দিন ওদে কথা বলার সময় কি বললে আপনি  এটা নাম নিবেনা এটা বললে  জিজ্ঞেস করি আপনি কি বলছিলে তালাক দিছি  কথা টা স্বামী বললো তালাক..কার তালাক দিছি   আমি বলি কাওকে  দেনাই স্বামী  মনে করছে কে কাকে তালাক দিয়াদিছে তাই মনে হয় এটা বলছে আমি বলি আপনি কি এই কথা টা কি বলছিলেন  দুই দিন এই কথা গুলো বালার সময় স্বামী বললো পাগলের মতো কথা বাতা বলোছ কিল্লাই রেগে কল কেটে দেয় পরে কল  করছি স্বামী বললে কি বলবি আমি বলছি আপনি রাগ করতে ছেন কেনোও আমি সুদু জিজ্ঞেস করছি স্বামী বললে ওই দিনের কথা গেছে  গো শেষ তুই আবার এগেন বলতেস কোনোও আমি বলছি আমার মাথা সুদু ঘুরে আপনি কি একথা বলছেনে স্বামী বলে তোর মাথা গুরে কেনোও তোর কি লাগবোও আমি বলছি না  আর কিল্লাই লাগবোও স্বামী বললো তাহলে  আমি তো বলেছি আপনি কি কথা বলছেনে ওটা স্বামী  বললো আমি বলছি হেতে দিয়ালাইলে শেষ হেতে তালাক দিয়ালাইলে শেষ আমি কি তোর মতো পাগলে কন জাগায় কি বলতে আমি জানি আমি বলি ও আমাকে না দিলে হবে কিছু বলে নাই একটু পরে   স্বামী  ব্যাংকসি  কেটে কি যে নো বলছিলো ভালো ভাবে সুনি নাই মনে হয় বলছিলো আপনি তালাক দিছি নে এটা আমি জিজ্ঞেস করছি   তার জন্য ওটা বলচিলো মনে হয় আমি ভালো ভাবে সুনি নাই   ওনি আরো কতো খন আমাকে চারছে চিল্লায়ছে  আর কি  এই বিষয়ে কথা হয় নাই।
হুজুর আমার প্রশ্ন   আমি জে বলছি লাম তালাক দিছি  এই কথা কি বলছে স্বামী যে বললো তালাক দিছি …  কার তালাক দিছি  আমি বলছি না কেও দেনি আপনি বলছিলে ওই দুই দিন কথা বলার সময়  স্বামী  এই কথা জন্য আমাদের তালাক হয়ে গেছে  হুজুর দয়া করে বললে আমি খুব পেরাশানিতে আছি আসসালামু আলাইকুম ।

Riaz Azin
[email protected]

উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا ومسلما

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোন তালাক পতিত হয়নি। তাই পেরেশান হওয়ার কারণ নেই। ইতিপূর্বে আপনাকে আরেকটি উত্তরের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো যে, আপনি ওয়াসওয়াসার রুগি। করণীয় বিষয়ে সেখানে আলোচিত হয়েছে।

শরঈ দলীলঃ

البحر الرائق: (3 / 273، ط: دارالكتاب الاسلامي)‏
وفي المحيط الأصل أنه متى وجدت النسبة وغير اسمها بغيره لا يقع لأن ‏التعريف لا يحصل بالتسمية متى بدل اسمها لأن بذلك الاسم تكون امرأة ‏أجنبية ولو بدل اسمها وأشار إليها يقع ثم قال ولو قال امرأتي بنت صبيح أو ‏بنت فلان التي في وجهها خال طالق ولم يكن لها خال وكذا التي هي عمياء أو ‏زمنى وهي بصيرة صحيحة طالق طلقت وذكر العمى، والزمن باطل لأنه عرف ‏امرأته بالنسبة ووصفها بصفة فصح التعريف ولغت الصفة ولو قال امرأتي عمرة ‏أم ولدي هذه الجالسة طالق ولا نية له، والجالسة غيرها وليست بامرأته لم تطلق ‏لأنه سماها وأشار، والعبرة للإشارة لا للتسمية اه.‏

الفتاوى الهندية: (1 / 358، ط: دار الفکر)‏
قال امرأته عمرة بنت صبيح طالق وامرأته عمرة بنت حفص ولا نية له لا تطلق ‏امرأته فإن كان صبيح زوج أم امرأته وكانت تنسب إليه وهي في حجره فقال ‏ذلك وهو يعلم نسب امرأته أو لا يعلم طلقت امرأته ولا يصدق قضاء وفيما ‏بينه وبين الله تعالى لا يقع إن كان يعرف نسبها وإن كان لا يعرف يقع أيضا ‏فيما بينه وبين الله تعالى وإن نوى امرأته في هذه الوجوه طلقت امرأته في القضاء ‏وفيما بينه وبين الله تعالى كذا في خزانة المفتين.‏

والله أعلم بالصواب
উত্তর লিখনে,
মুহা. শাহাদাত হুসাইন , ছাগলনাইয়া, ফেনী।
সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী দা.বা.
পরিচালক– তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।