প্রচ্ছদ / আকিদা-বিশ্বাস / ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর নামে সালাফীদের জঘন্য আকিদা প্রচার!

ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর নামে সালাফীদের জঘন্য আকিদা প্রচার!

মুফতী ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী

তথাকথিত সালাফী আকিদার অনুসারীরা ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের নামে একটি কিতাব প্রচার করে থাকে। কিতাবের নাম হল ,  আস-সুন্নাহ। কিতাবটি সালাফীদের প্রথম শ্রেরণির আকীদার কিতাব। এটি তারা খুবই গুরুত্বের সাথে প্রচার করে থাকে। কিতাবটিতে মারাত্মক সব কুফুরী শিরকী আকিদা এবং অসংখ জাল বণর্না থাকা সত্ত্বেও সালাফী ভাইয়েরা এটি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের নামে প্রচার করে । অথচ কিতাবটি বিশুদ্ধ সনদে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল থেকে প্রমাণিত নয়।

 

সালাফীদের নিকট কিতাবুস সুন্নাহ এর গুরুত্ব:

 

শায়খ বিন বায রহ. বলেন,

ومن أراد الوقوف على كثير من ذلك فليراجع ما كتبه علماء السنة في هذا الباب مثل كتاب (السنة) لعبد الله بن الإمام أحمد ، و(التوحيد) للإمام الجليل محمد ابن خزيمة ، وكتاب (السنة) لأبي القاسم اللالكائي الطبري ، وكتاب (السنة) لأبي بكر بن أبي عاصم

অর্থ: “আক্বিদা বিষয়ে যারা আরও বিস্তারিত জানতে চায় তারা যেন আহলুস সুন্নাহ এর আলেমগণ এ বিষয়ে যা লিখেছেন সেগুলো অধ্যয়ন করে। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদের আস-সুন্নাহ, ইবনে খোজাইমার আত-তাউহীদ, ইবনে আবি আসিম এর আস-সুন্নাহ। [১] শায়খ সালেহ আল-ফাউজান বলেন,

الحمد لله نحن أغنياء بما خلَّفه لنا سلفنا الصالح من كتب العقائد، وكتب الدعوة، وليست بأسلوب جاف –كما زعم هذا الكاتب -، بل بأسلوب علمي من كتاب الله وسنة رسوله ، أمثال :صحيح البخاري، ومسلم، وبقية كتب الحديث، ومن كتاب الله –تعالى -، الذي لا يأتيه الباطل من بين يديه ولا من خلفه، ثم كتب السنة، مثل :كتاب “السنة “لابن أبي عاصم، و “الشريعة “للآجري، و “السنة “لعبدالله بن الإمام أحمد، وكتب شيخ الإسلام ابن تيميَّة وتلميذه ابن القيم، وكتب شيخ الإسلام المجدد: محمد بن عبدالوهاب. فعليكم بهذه الكتب والأخذ منها .

অর্থ: আল-হামদুলিল্লাহ আমাদের সালাফে সালেহীন আমাদের জন্য যেসব আক্বিদা ও দাওয়াতের কিতাব রেখে গেছেন সেগুলোই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এগুলোর রচনা শৈলি অন্ত:সার শূন্য নয়, যেমনটি এই লেখক (মুহামআমদ বিন সুরুর) ধারণা করেছে। বরং আল্লাহর কিতাব ও রাসূল স. এর সুন্নাহ অনুযায়ী তার ইলমী আঙ্গিকে রচনা করেছেন। যেমন বোখারী, মুসলিম ও অন্যান্য হাদীসের কিতাব এবং আল্লাহর কুরআন, যার সম্মুখ ও পশ্চাতে কোন বিভ্রান্তিমূলক বিষয় নেই। এছাড়াও আমাদের আক্বিদার কিতাব রয়েছে, যেমন ইবনে আবি আসেমের ‘আস-সুন্না’, আজুররীর ‘আশ-শরিয়া’, আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদের ‘আস-সুন্নাহ’, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া ও তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর কিতাবসমূহ, এবং শায়খ মুহাম্মাদ ইবেন আব্দুল ওহাব নজদীর কিতাবসমূহ। আপনাদের জন্য এগুলো অধ্যয়ন ও তা থেকে জ্ঞান আহরণ জরুরি।[২] সালাফীদের প্রধান মৌলিক কিতাব হলো ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর ছেলের (?) কিতাব ‘আস-সুন্নাহ’। তারা সর্বদা এই কিতাব পড়ার প্রতি উৎসাহিত করে এবং এ থেকে তাদের আকিদার প্রমাণ দিয়ে থাকে। বর্তমানে সালাফীদের নিকট কিতাবটি এতোটা গুরুত্বপূর্ণ যে তারা কুরআনের পরে এই কিতাবের প্রচারকে প্রাধান্য দেয়। এই কিতাবকে তারা কতটা গুরুত্ব দেয়, তা তাদের কর্মপন্থা থেকে সহজে অনুমেয়। প্রথমে কিতাবটি আব্দুল্লাহ বিন হাসান বিন হুসাইন আলুশ-শায়খ এর তত্ত্বাবধানে‘আস-সুন্নাহ’ কিতাবটি লাজনাতুম মিনাল মাশাইখ ওয়াল এর পক্ষ থেকে তাহকীক সহ প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে তাহকীক করে প্রকাশ করেছে ড.মুহাম্মাদ বিন সাইদ আল-কাহতানী উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি থেকে এর উপর ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছে। তার এই থিসিস প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৮৬ সালে। ড.মুহাম্মাদ বিন সাইদ আল-কাহতানী আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদের এই কিতাব সম্পর্কে লিখেছে,

إن هذا الكتاب من أوائل المصادر التي كتبت في عقيدة السلف فإخراجه للناس في هذا العصر من الأهمية بمكان

অর্থাৎ “ সালাফী আকিদার উপর লিখিত কিতাবসমূহের মাঝে এটি প্রথম শ্রেণির কিতাব। বর্তমান সময়ের মানুষের জন্য এটা প্রকাশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”[৩] সে আরও লিখেছে,

هذا الكتاب من أمهات مصادر العقيدة في كتب السلف ৃلذا فهو من المصادر الأولى إذ لم يتقدمه إلا بعض الكتب الصغيرة..فهو من هذا الجانب ذا مكانة كبيرة حيث اعتمدت عليه كثير من الكتب التي صنفت في عقيدة السلف ৃفهو بحق مصدر رائد برزت قيمته في من نقل عنه وعزا إليه ৃفهذا الكتاب صنو لهذه المصنفات التي هي اليوم تحتل مكان الصدارة بعد كتاب الله في المكتبة الإسلامية

অর্থ: “সালাফী আকিদার জানার মৌলিক উৎসগুলোর একটি হলো এই কিতাব।..এটি আকিদা বিষয়ক প্রথম মৌলিক কিতাব বলা যায়। কিছু ছোট ছোট কিতাব ব্যতীত এর পূর্বে আর কোন কিতাব লেখা হয়নি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে কিতাবটি খুবই মূল্যবান। কেননা সালাফী আকিদার উপর লিখিত অনেক কিতাব এই কিতাবের উপর নির্ভর করে লেখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই কিতাবটি হলো এই কিতাবটি সালাফী আকিদার প্রাথমিক উৎস, যারা এই কিতাব থেকে বর্ণনা করেছে এবং এখান থেকে আকিদা গ্রহণ করেছে, তাদের কাছে এটিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ইসলামী লাইব্রেরীগুলোতে যেসব কিতাব পবিত্র কুরআনের পরবর্তী স্থান দখল করেছে সেসব কিতাবের সমপর্যায়ের।”[৪] এমনকি আমাদের দেশে সালাফী আকিদা প্রচারে লিপ্ত সালাফী শায়খরাও একে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন এবং এটাকে সালাফদের লিখিত প্রাথমিক কিতাব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে সালাফী মতবাদের প্রচারক ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার কুরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকিদা বইয়ের৭৭ পৃষ্ঠায়  আকিদা বিষয়ক কিছু বইয়ের নাম উল্লেখ করেছেন। এখানে তিনি আকিদা বিষয়ক দ্বিতীয় কিতাব হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের নামে প্রচারিত আস-সুন্নাহ কিতাবটি।

এই কিতাবের আকিদা বিশ্লষণের পূর্বে কিতাবটি বাস্তবে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল বা তার ছেলের কি না এটি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। ইসলামের বিখ্যাত ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. ও তার ছেলের প্রতি যেন কারও বিরূপ ধারণা সৃষ্টি না হয় এজন্য কিতাবটি বাস্তবে ইমাম আহমদের ছেলের কি না, সেটা জানা জরুরি।

‘আস-সুন্নাহ’ কি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ.এর ছেলের কিতাব?

আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি এটি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. বা তার ছেলের কিতাব নয়। এটি তার কিতাব হতেও পারে না। এই কিতাবে যে পরিমাণ কুফুরী শিরকী কথা রয়েছে, এটি কখনও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. বা তার ছেলের কিতাব হতে পারে না। এই কিতাবের আকিদা কোন ইমামের আকিদা হওয়া তো দূরে থাক, কোন সাধারণ মুসলমানের আকিদা হওয়ারও যোগ্য না। প্রকৃতপক্ষে এটি কোন কাররামিয়ার লেখা কিতাব। যা ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের নামে চালিয়ে দিয়েছে। এই কিতাবের সনদও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল বা তার ছেলে থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।

‘আস-সুন্নাহ এর সনদের মান’

সালাফীরা সর্বদা কিতাবটি ইমাম আহমাদ ইবনে রহ. এর ছেলের কিতাব হিসেবে প্রচার করে এবং তাদের সকলেই এটা বিশ্বাস করে যে এটি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর ছেলের কিতাব। কোন সালাফী আলেম এর বিপরীত কোন বক্তব্য বা এ ব্যাপারে সংশয়ও প্রকাশ করে না। এই কিতাবের সালাফী বিশ্লেষকরাও এ বিষয়ে কোন সন্দেহ পোষণ করে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে এটি আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর কিতাব প্রমাণ করতে। অথচ এই কিতাব ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল থেকে প্রমাণিত হলে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর দিকে এমন কিছু নিকৃষ্ট আক্বিদা সম্পৃক্ত করা হয় যা কোন কখনও ইসলামী আকিদা হতে পারে না।

আমরা বিশ্বাস করি না যে, এটি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর ছেলের কিতাব। এর মূল কারণ দু’টি, ১. এই কিতাব বিশুদ্ধ সনদে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর ছেলে থেকে বর্ণিত নয়। ২. এই কিতাবে বর্ণিত আকিদা কখনও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর আকিদা হতে পারে না।

এই কিতাবের এর সনদে দু’জন মাজহুল বা অজ্ঞাত বর্ণনাকারী রয়েছে। তারা হলো,

১. আবুন নসর মুহাম্মাদ ইবনে হাসান ইবনে সুলাইমান আস-সিমসার।

২. আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহীম ইবনে খালেদ আল-হারাবী।[৫] প্রিয় পাঠক, নিচের বর্ণনা ও আকিদাগুলো গভীরভাবে পড়–ন এবং দেখুন পূর্ববর্তী আকিদার নামে কীভাবে মুসলমানদের মাঝে ইহুদীদের আকিদা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।

‘আস-সুন্নাহ’ এর ভ্রান্ত আকিদাসমূহ:

পূর্ববর্তী আকিদার নামে যেসব কিতাব প্রচার করা হয় তার অধিকাংশ পাঠের অযোগ্য কিতাব। এতে এতো বেশি পরিমাণ জাল ও জয়ীফ বর্ণনা রয়েছে যে, এগুলোকে আকিদার কিতাব না বলে জয়ীফ হাদীসের সংকলন বলা যায়। আস-সুন্নাহ, আত-তাউহীদ, আল-উলু ইত্যাদি নামে যেসব কিতাব লেখা হয়েছে এগুলোর অধিকাংশ একই রকম। ‘জাল ও জয়ীফ হাদীসের কবলে সালাফী আকিদা’ শিরোনামে ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফজীলতের ক্ষেত্রে ইমাম গাযালী রহ. কিছু জাল হাদীস উল্লেখ করার কারণে সালাফীরা তার ব্যাপক সমালোচনা করে থাকে। অথচ তাদের অধিকাংশ আকিদার কিতাবে জাল ও জয়ীফ বর্ণনার ছড়াছড়ি থাকলেও এ বিষয়ে সাধারণ তারা মুখ খোলে না। এই দ্বিমুখী নীতি সত্যিই বিস্ময়কর। ড.কাহতানীর তাহকীক অনুযায়ী আস-সুন্নাহ কিতাবের শতকরা ৫৮ টি হাদীস ও আসার দুর্বল। অনেক বর্ণনা জাল। তাহলে এবার চিন্তা করুন, এই কিতাবে আকিদার নামে আসলে কী শিখানো হয়েছে। এবার দেখুন সালাফীদের প্রধান আকিদার কিতাবে কী পরিমাণ ভ্রান্ত আকিদা শিখানো হয়েছে,

আল্লাহ তায়ালা আরশে বসে আছেন:

এ বিষয়ে কিতাবুস সুন্নাহ তে পৃথক একটি পরিচ্ছেদ তৈরি করা হয়েছে। পরিচ্ছেদের নাম হলো,

سُئِلَ عَمَّا رُوِيَ فِي الْكُرْسِيِّ وَجُلُوسِ الرَّبِّ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ

‍আমার পিতাকে কুরসী ও আল্লাহ তায়ালার বসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।

এই অধ্যায়ের শুরুতে লেখা আছে, আমার পিতাকে দেখেছি, এসব হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং এগুলোকে সহীহ বলেছেন। অথচ এ অধ্যায়ের অধিকাংশ হাদীস দুর্বল বা মুনকার।

وروى عبد الله بن أحمد بإسناده عن النبي وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ إِنَّهُ لِيَقْعُدُ عَلَيْهِ جَلَّ وَعَزَّ فَمَا يَفْضُلُ مِنْهُ إِلَّا قِيدُ أَرْبَعِ أَصَابِعَ وَإِنَّ لَهُ أَطِيطًا كَأَطِيطِ الرَّحْلِ إِذَا رُكِبَ

আব্দুল্লাহ ইবনে আহমাদ নিজ সনদে নবী কারীম স. থেকে বর্ণনা করেছে, তার কুরসী আসমান-জমিনকে বেষ্টন করে আছে। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা কুরসীর উপর বসেন এবং আল্লাহর বসার পর কুরসীর চার আঙ্গুল পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে। তিনি যখন আরোহণ করেন তখন বাহনে আরোহণের মতো শব্দ হয়।[৬] হাদীসটি রাসূল স. থেকে প্রমাণিত নয়। এটি ইসরাইলী রেওয়াত হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। অথচ এজাতীয় মুনকার হাদীস দ্বারা মারাত্মক কিছু কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এই মুনকার হাদীসে সেসব ভ্রান্ত আকিদা রয়েছে,

১.আল্লাহ তায়ালা কুরসীর উপর বসেন।

২. কুরসী আল্লাহ তায়ালা থেকে বড়। একারণে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাকা থাকে।

৩. বাহনে আরোহণ করলে যেমন শব্দ হয়, তেমনি কুরসীর উপর আরোহণ করলে শব্দ হয়।

একটি পাথরে আল্লাহর হেলান দেয়া:

كتب الله التوراة لموسى عليه السلام بيده وهو مسند ظهره إلى الصخرة في ألواح در فسمع صريف القلم ليس بينه وبينه إلا الحجاب!!

অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে নিজ সনদে আবু আত্তাফ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা একটি পাথরে তার পিঠ হেলান দিয়ে নিজ হাতে মুসা আ. এর জন্য মতির ফলকে তাওরাত লিখেছেন। হযরত মুসা আ. কলমের লেখার শব্দ পর্যন্ত শুনেছেন। আল্লাহ তায়ালা এবং মুসা আ. এর মাঝে একটি পর্দা ছাড়া আর কিছুই ছিলো না।[৭] নাউযুবিল্লাহ। আমরা এধরনের নিকৃষ্ট কথা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ তায়ালার সাথে এধরনে জঘন্য বেয়াদবি থেকে আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।

আল্লাহর স্বর্ণের কুরসী ও চার আকৃতির চারজন ফেরেশতা তা বহন:

وروى ابن أحمد أيضاً بإسناده أثراً عن ابن عباس: أن النبي (صلى الله عليه وعلى آله وسلم) رأى ربه على كرسي من ذهب تحمله أربعة من الملائكة ملك في صورة رجل وملك في صورة أسد وملك في صورة ثور وملك في صورة نسر في روضة خضراء دونه فراش من ذهب

অর্থাৎ রাসূল স. আল্লাহ তায়ালাকে একটি স্বর্ণের কুরসীর উপর বসা দেখেছেন। এই কুরসীটি চারজন ফেরেশতা বহন করছে। একজন ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে, আরেকজন ফেরেশতা সিংহের আকৃতিতে, অপরজন গরুর আকৃতিতে এবং আরেকজন বাজপাখির আকৃতিতে। আল্লাহ তায়ালা একটি সবুজ উদ্যানে ছিলেন এবং তার নিচে স্বর্ণের বিছানা ছিলো। [৮]

আল্লাহর দুই বাহু ও বুকের নূর থেকে ফেরেশতা সৃষ্টি:

خلق الله الملائكة من نور الذراعين والصدر

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে তার দুই বাহু ও বুকের নূর থেকে সৃষ্টি করেন।[৯]

১. وروى عبد الله بن أحمد أن الله يقول لداود عليه السلام يوم القيامة: (إدنه إدنه حتى يضع بعضه عليه) وفي لفظ حتى يأخذ بقدمه

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন হযরত দাউদ আ. কে বলবেন, নিকটবর্তী হও, নিকটবর্তী। এমনকি হযরত দাউদ আ. তাঁর দেহের কিছু অংশ আল্লাহর কিছু অংশের উপর রাখবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, এমনকি হযরত দাউদ আ. আল্লাহর পা ধরবেন।[১০]

এর দ্বারা বােঝা গলে, হযরত দাউদ এর দহেরে কি ছু অংশ আল্লাহরে দহেরে কি ছু অংশরে উপর রাখব। কত ভয়ংকর আকদিা? আল্লাহ তায়ালার জন‍্য অংশ আছে বলে বশ্বিাস করা স্পষ্ট কুফুরী।

২. أن الله وضع يديه بين كتفي النبي (صلى الله عليه وعلى آله وسلم) حتى وجد بردها على قلبه

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তার দুই হাত নবীজী স. এর দুই কাঁধের মাঝে রাখেন। এমনকি রাসূল স. তার অন্তরে আল্লাহর হাতের শিতলতা অনুভব করেন। [১২] ৩. أن جلد الكافر يوم القيامة أربعون ذراعاً بذراع الجبار

অর্থাৎ কিয়ামতের দিন কাফেরের চামড়া চল্লিশ গজ মোটা হবে আল্লাহর গজ অনুযায়ী।[১৩]

৪. وأن السماء ممتلئ بالله عز وجل.

অর্থাৎ আসমান আল্লাহ তায়ালা দ্বারা পরিপূর্ণ।[১৪]

৫. وأن أسباب الزلازل أن الله يبدي بعضه للأرض فتتزلزل

অর্থাৎ ভূমিকম্প হওয়ার কারণ হলো, আল্লাহ তায়ালা তার দহেরে কিছু অংশ জমিনে প্রকাশ করেন, ফলে জমিন কেপে ওঠে।[১৫]

৬. وأنه ينـزل كل عشية ما بين المغرب والعصر ينظر لأعمال بني آدم

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক সন্ধ্যায় আসর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে নেমে আসেন আদম সন্তানের আমল দেখার জন্য।[১৬]

৭.  خلق آدم على صورته هو

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা আদম আ. কে তার নিজস্ব আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।[১৭] ৮. عرش الرحمن مطوق بحية.

অর্থাৎ আল্লাহর আরশ একটি সাপ দ্বারা পেঁচানো রয়েছে।[১৮] ৯. الكرسي كالنعل في قدميه (২/৪৭৫).

অর্থাৎ কুরসী হলো আল্লাহর দু’পায়ের জুতার মতো।[১৯]

১০. وأن الله يطوف في الأرض

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা জমিনে তওয়াফ বা চক্কর দেন।[২০] ১১.وأن الله يضع يده في يد داود

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তার হাত হযরত দাউদ আ. এর হাতে রাখবেন।[২১] ১২. ويأمره أن يأخذ بحقوه

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা হযরত দাউদ আ. কে তার কোমর ধরার আদেশ দিবেন।[২২] ১৩.  هذه الرياح من نفس الرحمن. (২/৫১০)

অর্থাৎ পৃথিবীর বাতাস হলো আল্লাহর শ্বাসের অংশ।[২৩] ১৪. وأنه لا تبقى خيمة من خيام الجنة إلا دخلها ضوء وجهه ويستبشرون بريحه (২/৫২৪).

অর্থাৎ জান্নাতের এমন একটা তাবু অবশিষ্ট থাকবে না যেখানে আল্লাহর চেহারার আলো পৌছবে না এবং তারা আল্লাহর ঘ্রাণ দ্বারা আনন্দ লাভ করবে।[২৪] ১৫. وأنه لما تجلى للجبل، بسط كفه ووضع إبهامه على خنصره

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যখন পাহাড়ের উপর তাজাল্লী বর্ষণ করেন, তার হাতের তালু বিস্তৃত করেন এবং তার বৃদ্ধাঙ্গুল কনিষ্ঠ আঙ্গুলের উপর রাখেন।[২৫]

সালাফীদের আকিদার কিতাবে ইমাম আবু হানিফা রহ. এর প্রতি অকল্পনীয় অপবাদ:

আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, ‘আস-সুন্নাহ’ কিতাবটি সালাফীদের মৌলিক আকিদার কিতাব। এটি তাদের কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলামী লাইব্রেরীগুলোতে কুরআন-সুন্নাহের পরে এই কিতাবের স্থান দিয়েছে। প্রথমত: কিতাবটি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. বা তার ছেলে থেকে প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তথাকথিত সালাফীরা সর্বত্র কুফুরী-শিরকে ভরা এই কিতাব প্রচার করছে। এই কিতাবে শুধু বাতিল আকিদাই নয়, বরং কিতাবের পরতে পরতে মারাত্মক পর্যায়ের তাকফীর রয়েছে। কথায় কথায় অন্যকে কাফের বলা হয়েছে। এই কিতাবের প্রথম পরিচ্ছেদ হলো, আর-রদ্দু আলাল জাহমিয়া (জাহমিয়াদের খন্ডন) এবং দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ হলো, আর-রদ্দু আলা আবি হানিফা (আবু হানিফার খন্ডন)। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ইমাম আবু হানিফার খন্ডনে যে পরিচ্ছেদ তৈরি করেছে সেখানে এমনসব অপবাদ ইমাম আবু হানিফা রহ. এর বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়েছে যা একজন সাধারণ মুসলমানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে আমরা দ্বিধা করি। তাদের আকিদার মৌলিক কিতাবের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ যদি একজন যুগশ্রেষ্ঠ ইমামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার অনুসারীদের ব্যাপারে তারা কী ধারণা পোষণ করে? তারা শুধু এই কিতাবুস সুন্নাহ এর প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে ইমাম আবু হানিফা রহ. এর বিরুদ্ধে তাদের সুপ্ত বিষোদগারের উদগীরণ ঘটায়নি বরং এগুলোর উপর আলাদা বই লিখেছে। সালাফী শেইখ মুকবিল ইবনে হাদী আল-ওয়াদেয়ী নাশরুস সহীফা (نشر الصحيفة في الصحيح من أقوال أئمة الجرح والتعديل في أبي حنيفة) নামে চার শ’ পৃষ্ঠার বই লিখেছে।

এই বইয়ের অধিকাংশ বর্ণনা কিতাবুস সুন্নাহ থেকে নেয়া। ইমাম আবু হানিফা রহ. এর প্রতি তাদের এই জঘন্য বিষোদগার শুধু এই কিতাবুস সুন্নাহ বা নাশরুস সহীফা এর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনি। আমাদের দেশের ইমাম আবু হানিফা রহ.এর নামে কুৎসা রটনার জন্য ছোট ছোট বই ছাপিয়েছে। আহলে হাদীসদের অন্যতম নেতা খুলনার মাওলানা আব্দুর রউফ একটা বই লিখেছে। সে এর নাম দিয়েছে, ইমাম আবু হানিফা বনাম আবু হানিফা। এই বইয়ে সে কিতাবুস সুন্নাহ থেকে বিভিন্ন উক্তি নিয়ে, ইমাম আবু হানিফাকে কাফের, যিন্দিক ইত্যাদি লিখেছে। এই বইটা প্রায় অধিকাংশ আহলে হাদীসের কাছে পাওয়া যায়।

তথাকথিক সহীহ আকিদা ও হাদীস অনুসরণের নামে ইসলামের মূলে কীভাবে কুঠারাঘাত করা হচ্ছে একটু ভেবে দেখুন। আমাদের আলেমরা যখন আদাবুল ইখতেলাফ লিখে মুসলমানদের ঐক্য ও সম্প্রীতির দাওয়াত দিচ্ছে তখন তথাকথিত সালাফীরা আমাদের ইমাম ও সব আলেমকে কাফের-মুশরিক ফতোয়া দিচ্ছে। আমরা যখন মুসলমানদের ঐক্যের উপর সেমিনার করছি, তখন তারা ইমাম আবু হানিফা রহ. এর কুৎসা রটনা করে সমাজে মহা (?) ঐক্যের বন্দোবস্ত করছে।

ইমাম আবু হানিফা রহ. এর প্রতি তাদের এই বিদ্বেষ দু’একজনের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। সালাফী শায়খ আলবানীও জঘন্যভাবে ইমাম আবু হানিফা রহ. এর প্রতি তার বিদ্বেষের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছে। ইমাম আবু হানিফা রহ. কে দুর্বল প্রমাণ করাই ছিলো তার মূল উদ্দেশ্য। নতুবা মুহাদ্দিসদের নীতিমালা অনুযায়ী কখনও সে এই কাজ করতে পারে না। মনের সুপ্ত বিদ্বেষ ও প্রবৃত্তিপূজার কারণে তারা ইমাম আবু হানিফা রহ. এর নামে এগুলো প্রচার করে এবং এগুলোকেই তাদের মূল লক্ষ্য বানিয়েছে। তাদের সহীহ আকিদার প্রচার মূলত:এগুলোই। দুনিয়ার সবাইকে কাফের-মুশরিক প্রমাণ করা, অন্যকে দোষারোপ করা, অথচ গোপনে গোপনে জঘন্য বাতিল আকিদার চর্চা করা। কাররামিয়াদের বাতিল আকিদাগুলো সংরক্ষণ ও প্রচার করার জন্য কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণের ছদ্মাবরণ গ্রহণ করছে। একারণে বর্তমান সালাফি আকিদা বলতে তারা যে পূর্ববর্তীদের অনুসরণের কথা বলে, তারা পূর্ববর্তী নেককার লোকদের অনুসরণ করে না, ভ্রান্ত ফেরকার কাররামিয়াদের অনুসরণ করে। এজন্য তাদের সালাফী নামকরণ এই দিক থেকে শুদ্ধ যে তারা ভ্রান্ত ফেরকা কাররামিয়া ও মুজাসসিমাদের অনুসরণ করছে।

ইমাম আবু হানিফা রহ. এর নামে তারা যেসব শব্দ ব্যবহার করেছে, আমি সংক্ষেপে সেগুলো উল্লেখ করছি।

১. কাফের।

২. যিন্দিক।

৩. জাহমিয়া অবস্থায় মারা গেছে।

৪. ইসলামকে পদে পদে ধ্বংস করেছে।

৫. ইসলামে তার চেয়ে অমঙ্গলজনক কোন সন্তান জন্ম নেয়নি এবং উম্মতের জন্য তার চেয়ে ক্ষতিকর কোন সন্তান জন্ম নেয়নি।

৬. সে সব ভুলের মূল।

৭. আবু হানিফার অনুসারীদের চেয়ে মদপানকারীরা উত্তম।

৮. ডাকাতদের চেয়ে হানাফীরা মুসলমানদের জন্য অধিক ক্ষতিকর।

৯. আবু হানিফার অনুসারীরা হলো তাদের মতো যারা মসজিদে উলঙ্গ থাকে।

১০. আবু হানিফাকে আল্লাহ তায়ালা অধোমুখী করে জাহান্নামে ঢুকাবেন।

১১. আবু হানিফা হলো আবু জিফা (পচা লাশের বাপ)।

১২. আবু হানিফা ও তার অনুসারীদের প্রতি বিদ্বেষ রাখলে একজন মুসলমান সওয়াব পাবে।

১৩. যে শহরে আবু হানিফা রহ. এর আলোচনা করা হয় সেখানে বসবাস করা যায় না।

১৪. কোন শহরে হানাফীদের কাউকে কাযী নিযুক্ত করা হলে তা উম্মতের জন্য দাজ্জালের আবির্ভাবের চেয়েও মারাত্মক।

১৫. আবু হানিফা মুরজিয়া ছিলো।

১৬. সে উম্মতের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের পক্ষে ছিলো।

১৭. সে সর্বপ্রথম কুরআন মাখলুক হওয়ার কথা বলে।

১৮. সে সব মূলনীতিকে নষ্ট করেছে।

১৯. তার ভুল যদি পুরো উম্মতের মাঝে বন্টন করা হয়, তাহলে সবার ভুলের সমান হবে।

২০.সে নিজের মতের কারণে হাদীস ছেড়ে দেয়।

২১. ছোয়াচে রোগে আক্রান্ত থেকে যেমন দূরে থাকা, সেভাবে তার থেকেও দূরে থাকতে হবে।

২২.সে ইসলাম ছেড়ে দিয়েছিলো।

২৩.আবু হানিফা ও তার অনুসারীরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট দল।

২৪.সে কখনও কোন সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়নি।

২৫. তাকে দু’বার বা তিনবার কুফুরী থেকে তওবা করানো হয়েছে।

২৬. যিন্দিক হওয়ার মতো কথা থেকে তাকে বহুবার তওবা করানো হয়েছে।

২৭.তার কিছু ফতোয়া ইহুদীদের ফতোয়ার মতো।

২৮. ইসলামের জন্য আবু হানিফার চেয়ে ক্ষতিকর কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি।

২৯.আল্লাহ তায়ালা আবু হানিফার কবরের উপর জাহান্নামের আগুনের গোলা নিক্ষেপ করেছেন।

৩০.কিছু কিছু আলেম আবু হানিফার মৃত্যুর সংবাদ শুনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছে।

৩১. সে হলো দুরারোগ্য ব্যাধি।

৩২.তার মাযহাব হলো রাসূল স. এর হাদীস প্রত্যাখ্যানের মাযহাব।

৩৩. সে মদ ও শুকরের গোশত খাওয়া জায়েয মনে করতো।

৩৪. সে ফাসাদ সৃষ্টিকারী ছিলো।

৩৫.অনেক আলেম আবু হানিফার প্রতি অভিশাপ দেয়াকে জায়েজ মনে করেন।

৩৬. সে আল্লাহর দীনের ব্যাপারে সবচেয়ে হঠকারী ছিলো।

৩৭. আবু হানিফা মনে করতো ইবলীস ও আবু বকর রা. এর ইমান একই পর্যায়ের।

৩৮.হাম্মাদ ইবনে সালামা বলতো, আমি আশা করি, আল্লাহ তায়ালা আবু হানিফাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবে।

কাহতানীর তাহকীকে আস-সুন্নাহ এর ১৮০ পৃ. থেকে ২২৯ শুধু ইমাম আবু হানিফা রহ. এর নামে কুৎসা রটনা করা হয়েছে। এই কথাগুলোতে ইমাম আবু হানিফার নামের জায়গায় পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্নস্তরের একজন মুসলমানের নামও যদি বসানো হয়, তাহলে কি কেউ এটা মেনে নিবে? সালাফী কোন শায়খের নাম যদি ইমাম আবু হানিফার নামের পরিবর্তে বসিয়ে এভাবে মিথ্যাচার করা হয়, তাহলে সেটা তাদের কাছে কেমন লাগবে? ইমাম আবু হানিফা রহ. এর নামে অপবাদ ছড়ানোকে যারা সওয়াবের কাজ মনে করে এবং এগুলোকে তাদের মৌলিক আকিদার কিতাবে স্থান দেয়, তারা মুসলমানদের বৃহত্তর সমাজের প্রতি কী ধারণা পোষণ করে? এভাবেই সহীহ আকিদার নামে বৃহত্তর মুসলিম সমজকে খন্ড-বিখন্ড করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে চলেছে তথাকথিক সালাফী আকিদার অনুসারীগণ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে এজাতীয় জঘন্য কাজ থেকে হেফাজত করুন এবং ইসলামের বড় বড় ইমামদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের তৌফিক দান করুন।

উদ্ধৃতিসমূহ:

[১] মাজমুউ ফাতাওয়া ও মাকালাত, ইবনে বায, খ.১, পৃ.১৮।

[২] আল-আজইবাতুল মুফিদা আনিল আস-ইলাতিল মানাহিজিল জাদিদা। পৃ.৮১।

[৩] আস-সুন্নাহ এর ভূমিকা। খ.১, পৃ.১৫। তাহকীক, মুহাম্মাদ বিন সাইদ কাহতানী।

[৪] আস-সুন্নাহ এর ভূমিকা। খ.১, পৃ.৬৫-৬৬। তাহকীক, মুহাম্মাদ বিন সাইদ কাহতানী।

[৫] আস-সুন্নাহ, খ.১, পৃ.১০২। কাহতানী এর তাহকীক।

[৬] কিতাবুস সুন্নাহ খ.১, পৃ.৩০৫।

[৭] কিতাবুস সুন্নাহ, খ.১,পৃ.২৯৪, খ.২, পৃ.৪৬১।

[৮] আস-সুন্নাহ, খ.১, পৃ.১৭৬

[৯] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৭৫, খ.২, পৃ.৫১০।

[১০] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৭৫

([১১]) المصدر السابق الآثار (৪৯০).

[১২] আস-সুন্নাহ, বর্ণনা নং ৮৯০

[১৩] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৯২।

[১৪] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৫৭।

[১৫] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৭০।

[১৬] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৭০।

[১৭] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৮৭২।

[১৮] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৭৪।

[১৯] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৭৫।

[২০] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৪৮৬।

[২১] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৫০২।

[২২] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৫০৩।

[২৩] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৫১০।

[২৪] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৫২৪।

[২৫] আস-সুন্নাহ, খ.২, পৃ.৫২৫।

আরও জানুন

ইবাদতে মনযোগ আনতে করণীয় কী?

প্রশ্ন আসসালামু আলাইকুম আপনার এই সাইটের প্রশ্ন পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছি। দোয়া করি আল্লাহ্ আপনাকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস